This Article is From Jul 03, 2019

অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা মমতা সরকারের

কেন্দ্রে একই প্রস্তাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার সম্মত হওয়ার ছ’মাস পরে রাজ্য সরকারও এই সিদ্ধান্ত নিল।

অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ঘোষণা মমতা সরকারের

রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন।

হাইলাইটস

  • অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা রাজ্যের
  • রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন
  • একই প্রস্তাবে বিজেপি সরকার সম্মত হওয়ার ছ’মাস পরে রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিল
কলকাতা:

পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির (Economically Weaker Section) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের (Quota) কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন। কেন্দ্রে একই প্রস্তাবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার সম্মত হওয়ার ছ'মাস পরে রাজ্য সরকারও এই সিদ্ধান্ত নিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। কাউকে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করার অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সরকারি নির্দেশে সেই বিষয়গুলির উল্লেখ করা হবে, যেটি শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।'' অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে চিহ্নিত করার ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বললেও পার্থবাবু এদিনই পরিষ্কার করে দেন, যাঁরা কোনও না কোনও সংরক্ষণের আওতায় পড়েন, তাঁদের এই সংরক্ষণের বাইরে রাখা হবে। মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পর তিনি  সাংবাদিকদের একথা জানান।

ক্ষমতায় এসে প্রথমবার তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘জেনারেল' শ্রেণির প্রতিনিধিদেরই এই সংরক্ষণের আওতায় রাখা হবে। তিনি বলেন, ‘‘তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের সংরক্ষণ যেমন ছিল তেমনই থাকবে। এই নতুন সংরক্ষণ ওই তিন সংরক্ষণের বাইরে যাঁরা তাঁদের জন্য।''

ক্ষমতায় এলে তৃণমূল নেতাদের আদায় করা কাটমানি ফেরৎ দেওয়া হবে: বিজেপি

গত ৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়। এবং সেটিও ‘জেনারেল' শ্রেণিভুক্তদেরই জন্য। যে ক'টি রাজ্য এটিকে চালু করেনি, তাদের অন্যতম ছিল পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, বর্ষীয়ান সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপির মনোজ টিগ্গা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘এটা বহু বছরের সংগ্রামের ফল। তবে আমরা সুখী। আবার চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে সচেতনও। আমরা চাই একটা সুসংহত ব্যবস্থা যা কেবল যোগ্য প্রতিনিধিকেই চিহ্নিত করবে।''

বিজেপির মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘আমার মনে হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঘুম দেরিতে ভেঙেছে। আমাদের দল কেন্দ্রে এটা এরই মধ্যে চালু করেছে। কেন্দ্রের পদক্ষেপ রাজ্য অনুসরণ করছে এটা দেখে ভালো লাগছে। কিন্তু চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে সচেতন আমরা।''



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.