This Article is From Jul 02, 2019

ক্ষমতায় এসে প্রথমবার তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

জমি দখল থেকে শুরু করে জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ করা নিয়ে দেড়ঘন্টার বৈঠকে আলোচনা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

ক্ষমতায় এসে প্রথমবার তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

বিধানসভার কনফারেন্স রুমে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক হয়। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

ক্ষমতায় আসার ৮ বছর পর, এই প্রথমবার তপশিলি জাতি, উপজাতি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবদলের তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে তাঁদের সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জমি দখল থেকে শুরু করে জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ করা নিয়ে দেড়ঘন্টার বৈঠকে আলোচনা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিধানসভার কনফারেন্স রুমে বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক হয়। যদিও এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমালোচনা করেছেন সিপিআইএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। বৈঠকের পর জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাশ বর্মা বলেন, “জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ করা নিয়ে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছি। তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পেনশন উপভোক্তার সংখ্যা বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে”। 

ক্ষমতায় এলে তৃণমূল নেতাদের আদায় করা কাটমানি ফেরৎ দেওয়া হবে: বিজেপি

মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। উত্তরবঙ্গে বন্ধ চা বাগানগুলি দ্রুত খোলা এবং সেখানকার উন্নয়নের ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন জমিগুলি দখল করে নেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

বৈঠকের পর তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “খুবই ভাল বৈঠক হয়েছে। আজকের বৈঠকে সমস্ত দলের তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলির উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা”। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে ৮০টি আসন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বৈঠকে বিধায়কদের দেওয়া লিপিবদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে তিনি আবারও বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন”। বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীনই সেই এলাকাতেই এই বৈঠক হয়েছে, এটা আইনের বিরুদ্ধে”।

"পরিস্থিতি অনুকুলে হলে তিস্তার জলচুক্তি মেনে নিতাম", বললেন মুখ্যমন্ত্রী

২০১৭-১৮ বছরে ভাল কাজের জন্য ন্যাশনাল সিডিউলড কাস্ট ফিনান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের থেকে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তা নিয়ে ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে তপশিলি জাতির জন্য ভাল কাজের জন্য বাংলাকে প্রথম পুরস্কার দিয়েছে ন্যাশনাল সিডিউলড কাস্ট ফিনান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। সবাইকে অনেক আমার আন্তরিক অভিনন্দন”।

তিনি লেখেন, “ঘটনাচক্রে আজ আমি বিধানসভায় সমস্ত দলের তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছি, এবং তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছি। আমার আন্তরিক অভিনন্দন”। 

রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। পুরস্কার হিসেবে রাজ্য ৭ লাখ টাকা পেয়েছে বলে জানান তিনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.