This Article is From Feb 13, 2019

নেই হেলমেট-গ্লাভস-প্যাড, ধুতি-কুর্তা পরে সংস্কৃত ধারাভাষ্যে অভিনব ক্রিকেট ম্যাচ বারাণসীতে

প্রতিযোগিতায় পাঁচটি দল রয়েছে এবং সব ছাত্ররা এখানে ধুতি ও কুর্তা পরে খেলছে। সংস্কৃতেই ক্রিকেটের ধারাভাষ্য চলছে। ধারাভাষ্য করছেন শ্রেষ্ঠ নারায়ণ মিশ্র ও ডঃ বিকাশ দীক্ষিত।

নেই হেলমেট-গ্লাভস-প্যাড, ধুতি-কুর্তা পরে সংস্কৃত ধারাভাষ্যে অভিনব ক্রিকেট ম্যাচ বারাণসীতে

ধুতি কুর্তা পরেই খেলতে নেমেছেন পণ্ডিতরা

বারাণসী:

ক্রিকেট খেলা চলছে জোর কদমে, চার-ছক্কা পড়লেই হাততালি আর চিৎকারে কাঁপছে মাঠ। কিন্তু খেলোয়াড়দের পরণে ধুতি, কুর্তা। এমনকি ক্রিকেট ম্যাচের ধারাভাষ্যও চলছে সংস্কৃত ভাষায়! সিনেমার শ্যুটিং নয় মোটেও, উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে মঙ্গলবার একটি অভিনব ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ১০-ওভারের টুর্নামেন্টে এই শহরের বিভিন্ন সংস্কৃত মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্রিকেট খেলার প্রতিভা প্রদর্শন করে, তবে তা ঐতিহ্যগত পোশাকে। মাথায় তিলক কেটে খালি পায়ে ক্রিকেট গজে ব্যাটে বলে ঝড় তুললেন সংস্কৃত পণ্ডিতরা। আম্পায়ার ও ধারাভাষ্যকারীরাও ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় পোশাকেই মাঠে নামেন।

খাবার পছন্দ না হওয়ার জন্য বিয়েবাড়ির অতিথিদের সঙ্গে মারামারি হোটেলকর্মীদের, দেখুন ভিডিও

সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিদ্যালয়ে ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়েছিল। এই শহরের সংস্কৃত মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষক গণেশ দত্ত শাস্ত্রী বলেন, এই প্রতিযোগিতা ছাত্রদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্যই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

গণেশ শাস্ত্রী এএনআইকে বলেন, “বারাণসীর সকল সংস্কৃত বিদ্যালয় এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি দল রয়েছে এবং সব ছাত্ররা এখানে ধুতি ও কুর্তা পরে খেলছে। সংস্কৃতেই ক্রিকেটের ধারাভাষ্য চলছে। ধারাভাষ্য করছেন শ্রেষ্ঠ নারায়ণ মিশ্র ও ডঃ বিকাশ দীক্ষিত।”

pp35sb1s

সংস্কৃত ক্রিকেট লীগে অংশ নেন বারাণসী সংস্কৃত পণ্ডিতরা।

পেটের মধ্যে কাঁচি রেখে ভুলে গেলেন চিকিৎসক, এক্স রে'তে ধরা পড়ল গাফিলতি

শাস্ত্রাথ মহাবিদ্যালয়ের আচার্য পাওন কুমার শাস্ত্রী জানান, এই রকম একটি অভিনব ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দেশে এই প্রথম। এই বিশেষ টুর্নামেন্টটি তার নিয়মে হাবেভাবে সবেতেই অনন্য। তিনি বলেন, “এটি আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত যে এই টুর্নামেন্টটিকে সংস্কৃত ক্রিকেট লীগ নামে ডাকা হচ্ছে। অন্য দিনগুলিতে, পড়ুয়ারা বেদ পড়েন, হাতে থাকে বই আর পেন, আজ তাঁদের হাতে ব্যাট ও বল দেখতে পাচ্ছি!”

.