This Article is From Sep 27, 2019

চিনে আটক মুসলিমদের নিয়ে চুপ কেন, ইমরানকে তিরস্কার আমেরিকার

চিনে আটক তুর্কিভাষী মুস‌লিমদের সম্পর্কে ইমরানের (Imran Khan) নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় কার্যরত মার্কিন সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস।

চিনে আটক মুসলিমদের নিয়ে চুপ কেন, ইমরানকে তিরস্কার আমেরিকার

ইমরান উইঘার্সদের প্রলঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি সোমবার।

ওয়াশিংটন:

পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) তিরস্কার করলেন এক শীর্ষ মার্কিন আধিকারিক। প্রশ্ন তুললেন, কেন ইমরান চিন (China) নিয়ে কিছু বলছেন না? চিনে আটক প্রায় দশ লক্ষ উইঘার্স এবং অন্যান্য তুর্কিভাষী মুস‌লিমদের সম্পর্কে ইমরানের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় কার্যরত মার্কিন সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস বলেন, ইমরানের কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য কাজের নয়। তিনি বলেন, দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে তীব্রতা আরও কম হওয়াই কাম্য। গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে রাজ্যকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে নতুন করে তিক্ততা তৈরি হয়েছে।

অ্যালিস বলেন, কাশ্মীর বিষয়ে ইমরান এত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু চিন নিয়ে তিনি নীরব। তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই একই রকমের সচেতনতা দেখতে চাই পশ্চিম চিনে আটক মুসলিমদের ব্যাপারেও। তাদের ওখানে প্রায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।''

“চিনের অপমান সহ্যের সময় পেরিয়েছে”, রাষ্ট্রসংঘে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

মুসলিমদের মানবাধিকার প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, সেটা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে লঙ্ঘিত হচ্ছে চিনে আটক তুর্কিভাষী মুসলিমদের ক্ষেত্রে। তিনি বলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সমাবেশে প্রশাসন চেষ্টা করছে সেবিষয়ে আলোকপাত করতে।

প্রসঙ্গত, চিন পাকিস্তানের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সঙ্গী।

টাকা তুলতে দেওয়া হোক জঙ্গি নেতা হাফিজকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘে আবেদন পাকিস্তানের

ইমরান উইঘার্সদের প্রলঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হননি সোমবার। তিনি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের একটা ‘‘বিশেষ সম্পর্ক'' রয়েছে। এবিষয়ে তাঁরা ব্যক্তিগত ভাবেই কেবল কথা বলতে চান।

আমেরিকা স্থির করেছে তারা রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক সমাবেশে এই বিষয়ে চিনের উপরে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করবে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সমাবেশের পাশাপাশি আমেরিকার তরফে মঙ্গলবার উইঘার্সদের চিনে আটক থাকার বিষয়টি তুলে ধরতে একটি ইভেন্টের আয়োজন করে। দ্রুত এই পরিস্থিতি বদলানোর আবেদন জানানো হয় ওই ইভেন্টে।

আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব জন সুলেভান বলেন, ‘‘আমরাই সত্যের একমাত্র অভিভাবক হতে পারি না বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একমাত্র সদস্য হতে চাই না যারা চিনকে থামতে বলব।''

মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পও নানা ভাবে আক্রমণ করেন চিনকে।

.