This Article is From Jun 11, 2020

আমেরিকায় ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত, মৃত ১,১২,৯০০ জন

বিশ্বের মধ্যে করোনা ভাইরাসের হামলায় যেদেশ সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত তা হল আমেরিকা, এদিকে কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণের জন্যে চিনকে লাগাতার দুষছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আমেরিকায় ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত, মৃত ১,১২,৯০০ জন

Coronavirus in America: মার্কিন মুলুকে করোনার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১,১২,৯০০ জন

হাইলাইটস

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে
  • চিন থেকেই ওই ভাইরাস ছড়ানো হয়েছে, অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের
  • যদিও চিনের পক্ষ থেকে বরাবরই ওই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে
ওয়াশিংটন:

করোনা ভাইরাস বিশ্বের যে সমস্ত দেশে জাঁকিয়ে বসেছে তার মধ্যে একেবারে প্রথমে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (America)। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন আক্রান্তের (Coronavirus) সংখ্যা বাড়ছে মার্কিন মুলুকে। কোভিড- ১৯ (COVID-19) এর হামলায় রীতিমতো বিপর্যস্ত ট্রাম্পের দেশ। বুধবার পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের যে পরিসংখ্যান মিলেছে তা দেখলে শিউরে উঠতে হয়। সেদেশে এখনও পর্যন্ত ওই মারণ রোগে আক্রান্ত ২ মিলিয়ন বা ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে, আমেরিকায় (Coronavirus in America) করোনার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১,১২,৯০০ জন। বাল্টিমোরে অবস্থিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২০,০০,৪৬৪ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিসংখ্যান বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক।

দেশে করোনার প্রভাব বাড়ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯,৯৯৬ জন, মৃত ৩৫৭

এদিকে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বে কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণের জন্যে চিনকে লাগাতার দুষছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সর্বেসর্বা কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই বারবার করোনা ভাইরাসকে "চায়না ভাইরাস" বলে উল্লেখ করেছেন। এমনকী করোনা ভাইরাসকে চিনের ল্যাবে তৈরি মানব-সৃষ্ট জীবাণু-অস্ত্র বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। পাশাপাশি চিনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে 'হু' এমন অভিযোগ করে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই স্পর্শকাতর সময়ের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আমেরিকার তরফ থেকে দেওয়া অর্থ তহবিল বন্ধ করে দেন।

সুখবর! এই প্রথম ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীদের সংখ্যাকে টপকে গেল সুস্থতার সংখ্যা

এদিকে মার্কিন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি করোনা সংক্রমণের পিছনে চিনেরই হাত রয়েছে এই সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। এর ফলে চিন ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প আবার হুমকির সুরে জানিয়েছেন, "আমরা অনেক কিছুই করতে পারি। সম্পূর্ণ সম্পর্কই আমরা শেষ করে দিতে পারি।''

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই লাগাতার দোষারোপে বেজায় চটেছে চিনও। এরই মধ্যে গত ২৪ মে চিনের বিদেশমন্ত্রী চিনা সংসদের অধিবেশনে এক সতর্ক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন," গত কয়েক দশক ধরে দুই দেশের (আমেরিকা ও চিন) সহযোগিতার ফলে যে সুফল সৃষ্টি হয়েছে, তা যদি এখন নষ্ট হয় তাতে আমেরিকার নিজের ক্ষতি তো হবেই, পুরো বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সচ্ছলতা সমস্যার মুখে পড়বে।"

.