This Article is From Aug 01, 2020

"সত্যমেব জয়তে! সত্যি সামনে আসবেই", সুশান্ত-কাণ্ডে ভিডিও বার্তা রিয়ার

শুক্রবার এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে রিয়া বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে সেই বিবৃতি প্রকাশ্যে এনেছেন

আইনজীবীর মাধ্যমে এই ভিডিও বিবৃতি প্রকাশ্যে আনেন রিয়া চক্রবর্তী।

মুম্বই:

সত্যমেব জয়তে! সত্যি সামনে আসবেই। প্রায় একসপ্তাহ চুপ থাকার পর ফের সুশান্ত-কাণ্ডে এভাবেই সরব হলেন রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। শুক্রবার এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে রিয়া বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিণ্ডে সেই বিবৃতি প্রকাশ্যে এনেছেন। তাতে বলা, "ভগবান এবং আদালতের প্রতি আমার অত্যন্ত বিশ্বাস আছে। আমি বিশ্বাস করি ন্যায় পাবো। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে এতকিছু আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পরেও আমার সেই বিশ্বাস আছে। যেহেতু বিষয়টি (Sushant Singh Case) বিচারাধীন, তাই আইনজীবীর পরামর্শে আমি বেশি মন্তব্য করবো না। সত্যমেব জয়তে। সত্যি সামনে আসবেই।"

এদিকে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু যেন হঠাৎ করেই তাঁর ভক্তদের মাথায় বিনা মেঘে বজ্রপাত ঘটিয়েছে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই জীবনের পথচলা থেমে যায় বলিউডের এই সৌম্যদর্শন অভিনেতার। ১৪ জুন, সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, যা দেখে প্রাথমিকভাবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে করছে পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে গেলেন বলিউডের এই উঠতি অভিনেতা? অনেকেই তাঁর আত্মহত্যার বিষয়টি বিশ্বাস করছেন না। এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে বলে মনে করছে সুশান্তের পরিবারও। এবার সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন তাঁর একসময়ের সবচেয়ে কাছের মানুষ অঙ্কিতা লোখাণ্ডে। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, সুশান্ত এমন মানুষই নন যিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। পাশাপাশি সুশান্তের মানসিক অবসাদে ভোগার বিষয়টিও মানতে নারাজ অঙ্কিতা।

অঙ্কিতা লোখাণ্ডে এবং সুশান্ত সিং রাজপুত প্রায় ৬ বছর ধরে লিভ ইন করতেন। পরে যদিও অঙ্কিতার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতেন না অভিনেতা। তবু এখনও সুশান্তের কথা বলতে গিয়ে অঙ্কিতার চোখে জল আসে। তিনি বলেন, "সুশান্ত আত্মহত্যা করার মতো মানুষই নয়। আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম তখন আমরা অনেক কঠিন পরিস্থিতি দেখেছি। কিন্তু ও সবসময় খোশমেজাজেই থাকতো। যতটুকু আমি ওকে জানি, ও কখনোই অবসাদে ভুগতে পারে না। আমি সুশান্তের মতো মানুষ জীবনে আর কখনও দেখিনি, ও নিজেই  নিজের স্বপ্নগুলোকে সত্যি করতে পারতো। 

ওর একটা ডায়েরি ছিল, তার মধ্যে ও ৫ বছরের একটি পরিকল্পনা করেছিল এবং ৫ বছর পর সেটা সব পূরণ করতেও পেরেছিল। যখন ওর সম্পর্কে মানসিক অবসাদে ভোগার কথা ওঠে তখন এটা আমায় খুব কষ্ট দেয়। ও হয়তো কখনো উদাস থাকতে পারে বা রেগে থাকতে পারে কিন্তু অবসাদে ছিল এটা মেনে নিতে পারছি না।"

.