This Article is From May 24, 2019

মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুকে ৬ বছরের জন্য বরখাস্ত করল তৃণমূ‌ল

বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ছেলে বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে(Subhrangshu Roy) বরখাস্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস।

মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুকে ৬ বছরের জন্য বরখাস্ত করল তৃণমূ‌ল
নয়াদিল্লি:

বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ছেলে বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে (Subhrangshu Roy) শুক্রবার বরখাস্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। দলবিরোধী কথা বলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেন, শুভ্রাংশুকে (Subhrangshu Roy) ছ'বছরের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘উনি ক্রমাগত এই ধরনের কথাবার্তা বলছিলেন। আমাদের দলের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।'' ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত বীজপুর বিধানসভার দু'বারের বিধায়ক শুভ্রাংশু (Subhrangshu Roy) সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বাবার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রশংসা করেন এবং বলেন তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে তিনি ব্যর্থ হন, কারণ তাঁর বাবা সাংগঠনিক হিসেবে তাঁর থেকে উন্নত। শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘আজ আমার একথা মেনে নিতে কোনও অসুবিধা নেই যে আমি আমার বাবার কাছে হেরে গিয়েছি। তিনি বঙ্গ রাজনীতির প্রকৃত চাণক্য। আমাদের দল হেরে গিয়েছে এবং মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। আমাদের উচিত এটা মেনে নেওয়া।''

বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে কাল জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা

একদা তৃণমূল‌ের (TMC) ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড' বলে যাঁকে ধরা হত সেই মুকুল রায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন।  সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের কারিগর ধরা হচ্ছে মুকুলকে।  এদিকে ভোটে খারাপ ফলাফলের পরে তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের নীরবতা ভঙ্গ করল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে। পার্থ বলেন, ভোটে হেরে যাওয়া মানেই পরাজয় নয় এবং বিজেপির এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা একটা ক্ষণস্থায়ী পরিস্থিতি যা খুব মিলিয়ে যাবে। 


তিনি বলেন, ‘‘ভোটে হেরে যাওয়া মানেই পরাজয় নয়। এটা রাজনৈতিক যাত্রার অপরিহার্য অঙ্গ। বিজেপি মিথ্যে কথা ছড়িয়ে ভোটে জিতেছে। এটা একটা ক্ষণস্থায়ী পরিস্থিতি, যা শিগগিরি বদলেও যাবে। আমরা এক সময় দেখেছি ৪০০ আসন পেতে দেখেছি রাজনৈতিক দলকে (১৯৮৪-তে কংগ্রেস)। কিন্তু খুব দ্রুত সেটা মিলিয়েও গিয়েছে। এক্ষেত্রেও সেটাই হবে। অপেক্ষা করুন।''  এবারের নির্বাচনে তৃণমূ‌ল ২২টি আসন পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ১৮টি। কংগ্রেস পেয়েছে দু'টি। 

.