This Article is From Jan 17, 2019

মঞ্চ প্রস্তুত, ১৯ জানুয়ারির জন্য প্রহর গুনছে দেশের রাজনৈতিকমহল

যদিও, আসল প্রশ্ন হল, এই সমাবেশ থেকে আখেরে কতটা লাভবান হতে পারে বিজেপি বিরোধী জোট এবং কতটাই বা লাভবান হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উত্তর দিতে পারবে একমাত্র সময়।

মঞ্চ প্রস্তুত, ১৯ জানুয়ারির জন্য প্রহর গুনছে দেশের রাজনৈতিকমহল
কলকাতা:

মঞ্চ প্রস্তুত। মঞ্চে কারা কারা থাকবে, প্রস্তুত তার তালিকাও। এর মধ্যেই যোগ হল আরেকটি বড় নাম। বহুজন সমাজ পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সতীশ মিশ্রও উপস্থিত থাকবেন মমতার ব্রিগেড সমাবেশে। শনিবার বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী থাকতে পারছেন না মঞ্চে। তাঁর জায়গায় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা সতীশ মিশ্রকে কলকাতায় পাঠাচ্ছেন তিনি। যে সিদ্ধান্তকে মমতার টুপিতে আরও একটি পালক বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান, সতীশ মিশ্রের এই সমাবেশে উপস্থিত থাকা মায়াবতীর উপস্থিত থাকার থেকে কম কিছু নয়। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী আসছেন না। তবে, তার জায়গায় তিনি পাঠাচ্ছেন মল্লিকার্জুন খারগে এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। দ্বিতীয়জন তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভার সাংসদ হন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সোনিয়া গান্ধী শারীরিক সমস্যার জন্য আসতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

ব্রিগেডের সমাবেশ বাজবে বিজেপির মৃত্যুঘন্টা, বললেন মমতা

যদিও, আসল প্রশ্ন হল, এই সমাবেশ থেকে আখেরে কতটা লাভবান হতে পারে বিজেপি বিরোধী জোট এবং কতটাই বা লাভবান হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার উত্তর দিতে পারবে একমাত্র সময়। তবে, এই সমাবেশ যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে বিজেপি বিরোধী জোটের প্রথম তথা শেষ বড় সুযোগ নিজেদের আখের গুছিয়ে নেওয়ার, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহালমহল। 

তবে, কংগ্রেস যে এই জোটের থেকে নিজেদের একটু তফাতে রাখতে চাইছে, তা তাদের হাবভাবেই পরিষ্কার। কয়েকদিন আগেই এম কে স্ট্যালিন রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার ইচ্ছের কথা প্রকাশ্যে জানানোয় তা নিয়ে ফাটল ধরেছিল বিরোধীদের মধ্যে। আর মাঝে একটি মাত্র দিন। তৃণমূল সুত্রে দাবি, তিলোত্তমাতেই দিদির হাত ধরে ঠিক হয়ে যাবে আগামীর পথচলার লক্ষ্যগুলো। এখন কেবল ১৯ জানুয়ারির অপেক্ষা।

.