স্মোকহাউস বন্ধের বিষয়ে যদিও বিশেষ মন্তব্য করছেন না সংস্থার মালিকেরা
নিউ দিল্লি: নিজেদের শেষ স্মোকহাউসটিও বন্ধ করে দিতে চলেছে ভার্জিনিয়ার স্মিথফিল্ড ফুডস। শুয়োরের মাংস থেকে উৎপন্ন নানান খাবার জিনিসের ব্যাপারে বরাবরই স্মিথফিল্ড একটা মাইলস্টোনই তৈরি করে এসেছে বলা চলে। ঐতিহ্যশালী এই হ্যাম নির্মাতাদের স্মোকহাউস বন্ধের খবর অনেকেই কেমন বিশ্বাস করতে পারছেন না শহরের অনেক মানুষই। স্থানীয় ঐতিহাসিক এবং স্মিথফিল্ড ফুডসের প্রাক্তন আধিকারিক হার্ব দে গ্রফট বলেন, "1800 সাল নাগাদ এই স্মিথফিল্ড ফুডস দেশের মাংস উৎপাদনকে অন্য মাত্রা দিতে শুরু করে। ইংল্যান্ডের রানী প্রতিবছর একটি করে স্মিথফিল্ড হ্যাম পেতেন সেই সময়।"
ওয়াইট কান্ট্রি মিউজিয়ামে জেনিফার ইংল্যান্ড।
1600 শতকের গোড়ার দিকে ইংরেজ উপনিবেশবাদীরা তাদের শূয়োরের দল নিয়েই জেমসটাউনে পৌছোন। তারপর থেকেই হ্যাম এই এলাকার প্রধান খাদ্য হয়ে উঠেছে। ভার্জিনিয়া স্টেট কোডে একটি সম্পূর্ণ বিভাগই রয়েছে ‘স্মিথফিল্ড হ্যামস’ শিরোনামে ( 3.2, অধ্যায় 54, ধারা, 4 আর্টিকল)। ঠিক যেমন ফ্রান্স শ্যাম্পেনকে প্রাধান্য দেয় বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন গ্রিক চিজের ব্যাপারে রক্ষণশীল তেমনই ভার্জিনিয়াও আইন-কানুনের মধ্যে দিয়েই স্মিথফিল্ডের খাঁটি স্মিথফিল্ড হ্যামকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরে।
স্মোকহাউস বন্ধের বিষয়ে যদিও বিশেষ মন্তব্য করছেন না সংস্থার মালিকেরা। স্মিথফিল্ড ফুডসের মুখপাত্র ডায়না সোডার জানান যে, যতদিন প্রয়োজন ছিল ঠিক ততদিনই স্মোকহাউসটি রাখা হয়েছে। এছাড়া চাহিদা মেটানোর মতো হ্যাম পর্যাপ্ত পরিমাণে তাঁদের স্টকে রাখা রয়েছে। 50 বছরেরও বেশি সময় ধরে এই স্মোকহাউসটি চলছিল। তাহলে কি নতুন কোনও স্মোকহাউস বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের? "আমরা স্মোকহাউসের ভবিষ্যতের বিষয়ে অনেক মিটিং করেছি, আগামীতেও করব। এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আর বিশেষ তথ্য দেওয়ার মতো কিছুই নেই।“ বলেন ডায়না।
ভার্জিনিয়ার ইতিহাস শুধু না, তাদের সংস্কৃতি, খাবারের বিশেষত্ব সবেতেই গভীর প্রভাব রয়েছে এই স্মিথফিল্ড হ্যামের। স্মোকহাউস বন্ধের খবরে তাই প্রবীণ নাগরিকেরাও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)Click for more
trending news