This Article is From Sep 18, 2019

“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত”, এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ বিজেপি নেতার

সুরেন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করতে চান তবে তাঁর বাংলাদেশেই চলে যাওয়া উচিত।"

“বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত”, এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ বিজেপি নেতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারেই মনে করিয়ে দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার অনুমতি দেবেন না তিনি

বালিয়া, উত্তরপ্রদেশ:

শুধরে যান, নইলে তিহারে পি চিদম্বরমের সঙ্গে জেলে কাটাতে হতে পারে! জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (National Register of Citizens) বা এনআরসি (NRC) ইস্যু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের  বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং (BJP MLA Surendra Singh)! শনিবার বিজেপির নেতা সুরেন্দ্র সিং বলেন যে, “এনআরসির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিবৃতি দিচ্ছেন তা প্রমাণ করে যে তাঁকে বিদেশি বাহিনী সমর্থন করছে। মনে হচ্ছে মমতা ভুলে যাচ্ছেন যে তাঁর খারাপ দিন আসছে। তার উচিত ভাষা এবং আচরণ সংযত করা, অন্যথায় তাঁকেও কংগ্রেস নেতা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের মতো একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।” বিজেপির এই নেতা বলেন যে, এনআরসি পশ্চিমবঙ্গেও প্রয়োগ করা হবে এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যদি বাংলাদেশিদের ধরে রাখতে চান তবে তাঁর চেষ্টা করা উচিত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। সুরেন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খারাপ দিন ঘনিয়ে আসছে। তিনি যদি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন নিয়ে রাজনীতি করতে চান তবে তাঁর বাংলাদেশেই চলে যাওয়া উচি্ত। মুখ্যমন্ত্রীর যদি সাহস থেকে থাকে তাহলে যদি তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান তাহলে ভালোই হবে।”  

NRC: নাগরিক পঞ্জিতে ঠাঁই না পাওয়াদের জন্য তৈরি হচ্ছে শরণার্থী শিবির

বিজেপির এই বিধায়ক (BJP MLA Surendra Singh) আরও যোগ করেন, এনআরসি পশ্চিমবঙ্গেও প্রয়োগ করা হবে এবং যারা ভারতের নাগরিক হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করবেন না তাদের সম্মানজনকভাবে নিজেদের দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের থেকে উদাহরণ টেনে সুরেন্দ্র সিং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী সাফল্যের রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, “লঙ্কার (শ্রীলঙ্কা) মানুষ হনুমান জিকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি তবে তিনি সেখানে চলে যেতে পেরেছিলেন। একইভাবে যোগী আদিত্যনাথ এবং অমিত শাহও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন এবং আমরা ওখানে অনেকগুলি আসন পেয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বাংলার রাজনৈতিক রানী (লঙ্কিনী)। সেখানে রাম নিজের পা রেখেছেন এবং এবার শীঘ্রই সরকারে পরিবর্তন আসবে।” “বাংলায় NRC কার্যকর করা হবে এবং সমস্ত বাংলাদেশিদের হাতে দু'টি প্যাকেট খাবার ধরিয়ে এবং শ্রদ্ধাপূর্বক তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে,” তিনি বলেন। 

‘‘বাংলায় হতে দেব না'': নাগরিক পঞ্জি নিয়ে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসামে এনআরসি-র ব্যাপকভাবে বিরোধিতা করেছেন এবং বারেবারেই তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার অনুমতি দেবেন না তিনি।

.