This Article is From Jan 02, 2020

অজিত পাওয়ার অর্থ আর অশোক চহ্বাণ পেতে পারেন পূর্ত দফতর: সূত্র

আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সেচ দফতর পেতে পারেন এনসিপির জয়ন্ত  পাটিল। আবাসন উন্নয়ন যেতে পারে জিতেন্দ্র আওয়াধের অধীনে।

উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভায় উপ-মুখমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।

নয়াদিল্লি:

দিনকয়েক আগে উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন ৩৬ জন বিধায়ক (36 MLAs)। সেই তালিকায় শিবসেনার পাশাপাশি কংগ্রেস ও এনসিপির বিধায়করাও আছেন। এবার মহারাষ্ট্রের মহা-অঘধি জোট সরকার সূত্রে খবর, দফতর বণ্টনে  শিঁকে ছিড়তে চলেছে এনসিপির (NCP)। অর্থ, স্বরাষ্ট্র, সেচ এবং আবাসন উন্নয়নের মতো-- গুরুত্বপূর্ণ দফতর শরদ পাওয়ারের দলের হাতে থাকবে। এমন দাবি বৃহস্পতিবার এনডিটিভিকে করেছে ওই সূত্র। জানা গেছে, উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভায় উপ-মুখমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। এই দফতরের সঙ্গে তাঁকে অর্থ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা নবাব মালিক পেতে পারেন অতি গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র দফতর।  আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ, সেচ দফতর পেতে পারেন এনসিপির জয়ন্ত  পাটিল। আবাসন উন্নয়ন যেতে পারে জিতেন্দ্র আওয়াধের অধীনে। পাশাপাশি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ পেতে পারেন পূর্ত দফতর (Public Works Department) আর বালাসাহেব থোরাতের অধীনে আসতে পারে রাজস্ব দফতর। 

বর্ধিত মন্ত্রিসভাতে ঠাঁই নেই, বিক্ষুব্ধ একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক: সূত্র

জানা গেছে, রবিবার, যে ৩৬ জন শপথ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জন কংগ্রেস বিধায়ক। ইতিমধ্যে আবার যে কংগ্রেস বিধায়করা মন্ত্রিত্ব পাননি, তাঁরা একপ্রস্থ দরবার করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির কাছে। যে তালিকায় আছেন, সে রাজ্যের আরও এক মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ চৌহান আর প্রণীতি শিণ্ডের মতো হেভিওয়েট বিধায়করা। 
এর আগে ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে-সহ ছ'জন বিধায়ক শপথ নিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন, কংগ্রেসের বালাসাহেব থ্রোট, নীতিন রাউত। ছিলেন শিবসেনার একনাথ শিণ্ডে আর সুভাষ দেশাই। এবং এনসিপির জয়ন্ত পাটিল আর ছগন ভুজবল। সে রাজ্যে বিধানসভার ফল ঘোষণার পর মহারাষ্ট্রে সরকার কে গড়বে? এই দ্বন্দ্বে যখন টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি, তখন কয়েকজন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির হাত ধরেন অজিত পাওয়ার।

মহারাষ্ট্রে শপথ নিলেন আদিত্য ঠাকরে সহ ৩৫ জন: ১০টি তথ্য

এনসিপির অজিত পাওয়ার-সহ ওই বিধায়কদের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। কিন্তু এরপরেই বিরোধী শিবির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই শুনানিতে শীর্ষ আদালত বিধানসভায় 'প্রকাশ্য আস্থা ভোটের' পক্ষে নির্দেশ দেয়। এরপর প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগার করতে পারবে না বিজেপি, এই আশঙ্কা থেকে সরকার গড়ার তিন দিনের (৮০ ঘণ্টা) মাথায় পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
যদিও সেই ঘটনার দায় সম্পূর্ণ ভাইপো অজিত পাওয়ারের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান শরদ পাওয়ার। দল তথা নেতৃত্বকে না জানিয়ে, বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন অজিত পাওয়ার, সে সময় অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এরপরেই 'ঘরে ফেরেন' অজিত পাওয়ার। নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপি থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন অজিত পাওয়ার বলে সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন শরদ পাওয়ার। অবশেষে সে রাজ্যে গঠিত হয় তিন দলের মহা-অঘধি সরকার।

.