This Article is From Aug 23, 2018

কোরবানিতে বাধা, পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে ঝাড়খণ্ডে আহত বহু গ্রামবাসী

গতকাল ইদ উল আযহা পালনের সময়েই রাজ্যের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে পুলিশের সঙ্গে জনতার বিধ্বংসী সংঘর্ষে গুরুতর জখম হল অন্তত জনা বিশেক গ্রামবাসী

ঝাড়খণ্ডে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ

কলকাতা:

গতকাল ইদ উল আযহা পালনের সময়েই রাজ্যের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে পুলিশের সঙ্গে জনতার বিধ্বংসী সংঘর্ষে গুরুতর জখম হল অন্তত জনা বিশেক গ্রামবাসী। গ্রামটি ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত। স্থানীয় মানুষ জানায়, ইদ উপলক্ষে কোরবানির সময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। শুধু তাই নয়, যে পশুদের কোরবানি দেওয়া হচ্ছিল, তাদের টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। গ্রামবাসীরা বাধা দিলে পুলিশ লাঠি আর কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তাদের দিকে ধেয়ে যায়। এই ঘটনার পর এলাকায় যে কোনও ধরনের জটলাকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আহত গ্রামবাসীদের মধ্যে অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। উত্তেজনা প্রশমন করার জন্য তাদের ঝাড়খণ্ড থেকে এই রাজ্যে নিয়ে এসে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চলছে। সংঘর্ষে ওই এলাকার এক পদস্থ পুলিশকর্তাও আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা করার পর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার দাঙ্গাপাড়া গ্রামে কোরবানি উপলক্ষে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হয়েছিল।  

ওই এলাকায় প্রকাশ্যে গরুজবাই করার পরিকল্পনা হচ্ছে, এমন একটি খবর পেয়ে তড়িঘড়ি উপস্থিত হয় পুলিশ।

ঝাড়খণ্ডে গরুজবাই করা আইনত নিষিদ্ধ। এছাড়া, গোটা দেশে আগেই ইদ উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোরবানি দেওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র।

পুলিশ জানায়, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বেশ কিছু মুসলমান ধর্মাবলম্বী মানুষ ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিল। যারা পরে মহেশপুর থানায় হামলা চালায়।

 

.