This Article is From Nov 14, 2019

Sabarimala Case: মামলাটি ৭ বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

Sabarimala: প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, সব বয়সের মহিলাদের কেরালার ওই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত কিনা এই প্রশ্ন একটি বড়সড় বিতর্ক তৈরি করেছে

Sabarimala Case: মামলাটি ৭ বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
নয়া দিল্লি:

শবরীমালা (Sabarimala case) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা মামলায় বিষয়টি এবার পর্যালোচনা করা জন্যে ৭ বিচারপতির বেঞ্চের কাছে পাঠালো দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছেন, সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালায় প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত কিনা এই প্রশ্ন একটি বড়সড় বিতর্ক তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুসলিম ও পার্সি মহিলাদের ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার মতো বিষয়ও রয়েছে। তাই এটি পর্যালোচনা করার জন্যে আরও বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, "সব পক্ষকে নতুন করে সুযোগ দেওয়া উচিত।"

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সেই যুগান্তকারী রায়ে বলে এখন থেকে শবরীমালা মন্দিরে যে কোনও বয়সের যে কোনও মহিলার প্রবেশাধিকার রয়েছে। তার আগে, ওই মন্দিরের দেবতা আয়াপ্পার পুজো দেওয়ার জন্য ১০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের পরেই কেরালা জুড়ে নানা বিক্ষোভ ও হিংসার ঘটনা ঘটে। তারপরেই শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার কথা বলে ৬০ টিরও বেশি আবেদন জমা পড়ে ।

কেরালার শবরীমালায় প্রবেশ করে ইতিহাস গড়লেন দুই মহিলা, 'শুদ্ধিকরণের' জন্য বন্ধ মন্দির

গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় পুনর্বিবেচনা মামলায় নিজের রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সেই সময় রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করা বিভিন্ন পক্ষের শুনানি হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।

বছরে মোট ১২৭ দিন খোলা থাকে শবরীমালা মন্দির। ওই সময় নারী-পুরুষ নির্বেশেষে ওই মন্দির গিয়ে একবার প্রার্থনা করার জন্যে মুখিয়ে থাকেন।

শবরীমালা-রাফাল নির্দেশের পুনর্বিবেচনায় বৃহস্পতিবার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট

 ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শবরীমালা নিয়ে রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট বলে, “বিধিনিষেধকে কখনওই ধর্মীয় প্রথার অংশ হিসেবে তুলে ধরা যায় না”। আদালত ওই সময় জানিয়েছিল, এই প্রথা আসলে একরকম অস্পৃশ্যতাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করে, যা কাম্য নয়। যদিও, সুপ্রিম কোর্টের সেই ঐতিহাসিক রায়ের পরেও মন্দিরে ৫০ বছরের কম বয়সী মহিলারা রায়-বিরোধীদের বিক্ষোভের কারণে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি।

.