This Article is From Jul 19, 2019

ভারতীয়রা ঋষিদের সন্তান, বাঁদরের নয়, ডারউইন তত্ত্ব খারিজ করে লোকসভায় দাবি বিজেপি সাংসদের

বর্ষীয়ান সাংসদ সত্যপাল সিংহ লোকসভায় জানান, তিনি বিশ্বাস করেন ভারতীয়রা ঋষিদের সন্তান, বাঁদরের নয়। ডারউইনের তত্ত্বকে উড়িয়ে এই মত জানান তিনি।

ভারতীয়রা ঋষিদের সন্তান, বাঁদরের নয়, ডারউইন তত্ত্ব খারিজ করে লোকসভায় দাবি বিজেপি সাংসদের

বর্ষীয়ান সাংসদ সত্যপাল সিংহের বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার তোলপাড় হল সংসদ।

হাইলাইটস

  • বর্ষীয়ান সাংসদ সত্যপাল সিংহ জানিয়েছেন, তিনি ডারউইনের তত্ত্ব মানেন না
  • তাঁর মতে, ভারতীয়রা ঋষিদের সন্তান, বাঁদরের নয়
  • এমন বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার তোলপাড় হল সংসদ
নয়াদিল্লি:

এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ডারউইনের (Darwin) তত্ত্ব মানেন না। সেই বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার তোলপাড় হল সংসদ। সেই বর্ষীয়ান সাংসদ সত্যপাল সিংহ (Satya Pal Singh) লোকসভায় জানান, তিনি বিশ্বাস করেনভারতীয়রা ঋষিদের সন্তান, বাঁদরের নয়। তাঁর এহেন মন্তব্যের পরে বিরোধীপক্ষ প্রবল প্রতিবাদ জানায়। কানিমোঝি ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra ) বিস্ময় প্রকাশ করেন এমন কথা শুনে। এদিন তিনি মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি বিল সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন সত্যপাল। তখনই তিনি ওই মন্তব্য করেন। পূর্বতন বিজেপি সরকারে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সত্যপাল বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয় না এবং মানবাধিকার কর্মীদের ব্যাপারেও কোনও ধারণা পোষণ করেন না। আমাদের সংস্কৃতি বলে, আমরা ঋষিদের সন্তান। যাঁরা বিশ্বাস করেন মানুষ বাঁদরের সন্তান তাঁদের আঘাত করতে চাই না কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি অনুসারে আমরা ঋষিদের সন্তান।''

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের

তাঁর এহেন কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন তৃণমূ‌লের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সংসদের অধিবেশন শুরুর দিনেই তাঁর ভাষণে সাড়া ফেলেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মোদী সরকার কীভাবে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠছে, সেকথাই বিস্তারিত ভাবে তাঁর ভাষণে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন মহুয়া। মহুয়া এদিন সত্যপালকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনার মা কি গরু?''

এর প্রতিক্রিয়ায় সত্যপাল বলেন, ‘‘যে মানুষেরা মানবাধিকার কর্মীদের মূল্য জানে না তারাই আমার কথার বিরোধিতা করবে।''

‘‘বাংলার মার্কেটিং করবেন না'': তৃণমূল সাংসদকে বললেন লোকসভার স্পিকার

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সংস্কৃতি বলে মানবাধিকার কর্মীদের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের দরকার ভাল ও ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ হয়ে ওঠা। আমরা মানুষের সঙ্গে তেমনটাই করি, যেমনটা আমাদের সঙ্গে করা হোক বলে আমরা মনে করি। আমরা সব মা‌নুষকে শ্রদ্ধা করতে চাই। এটাই আমাদের সংস্কৃতির আদর্শ।''

প্রাক্তন মন্ত্রী দাবি করেন, মানবাধিকার কর্মীরা বিদেশি সংস্থার দ্বারা অর্থনৈতিক মদতপুষ্ট এবং তাঁরা ‘‘জঙ্গি, জাতীয়তাবাদ-বিরোধী ও ধর্ষকদের'' সমর্থক। তিনি বলেন, সরকার তাঁদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত যাঁদের সেটার প্রয়োজন আছে।''

ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‘আমরা হোমো স্যাপিয়েন্স এবং এই কক্ষের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক রাখা উচিত।''

মানবাধিকার রক্ষা বিল, ২০১৯ লোকসভায় পাশ হয়েছে। বহু বিরোধী সাংসদ আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, এই বিলে অনেক ফাঁক আছে।

.