This Article is From Aug 13, 2019

টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিশ মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ২

হামকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল মহিলা

টালিগঞ্জ থানায় ঢুকে পুলিশ মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার ২

হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ২

কলকাতা:

টালিগঞ্জ থানায় (Tollygunge police station) ঢুকে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় দীপক ও ছোটকাকে। ধৃতাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ঘটনার মূল অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গুণ্ডাদমন শাখার পুলিশ চেতলা এলাকায় হানা দিয়ে দীপক ও ছোটকাকে পাকড়াও করে বলে লালবাজার (Lal Bazar) সূত্রের খবর। পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিবার রাতে থানায় ঢুকে মারধরের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হল আকাশ ও গুল্লু। তারা চেতলার বসিন্দা। রবিবার রাতে, দক্ষিণ কলকাতার মেনকা সিনেমার কাছে কয়েকয়জন যুবক মদ্যপান করছিল প্রকাশ্যে। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। টালিগঞ্জ থানার পুলিশ (Tollygunge police station) গিয়ে অভিযুক্ত দু'জনকে গ্রেফতার করে। যা ঘিরেই বিবাদের সূত্রপাত। 

রোগী মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার এসএসকেএম, নিগৃহীত চিকিৎসক

পুলিশের দাবি, ওই রাতে দুজনকে গ্রেফতারির পরই তাদের বাড়ির ও পাড়ার লোকেরা থানায় আসে। ধৃতদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। দাবি না মেটায়, প্রায় ৩০ জন থানার মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব (disturbances) চালায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। প্রথমে ইঁট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশদের ধরে মারা হয়। এতে মহিলা সহ টালিগঞ্জ থানার সাত পুলিশ কর্মী আহত হন। 

‘‘বেকারত্ব নিয়ে উত্তর চাও কেন্দ্র সরকারের কাছে'': তরুণ প্রজন্মের কাছে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

সেই রাতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। টালিগঞ্জ থানার (Tollygunge police station) ওসির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা নিজের অসন্তোষ ব্যাক্ত করেন বলে জানা যায়। তারপরই কড়া পদক্ষেপ হয় রবিবার রাতে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের ধরতে। সোমবার পুলিশ এক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে।

সোমবার দুপুর থেকেই চেতলা (Chetla) এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তাতেই গ্রেফতার করা হয় দু'জনকে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'যা ঘঠেছে তা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক। এরকম বার বার হতে থাকলে প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাবে। দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত।' এই ঘটনার সঙ্গে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আইন আইনের পথে চলবে।' কলকাতার মেয়রের দাবি, 'বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয়। এখানে আইনের শাসন রয়েছে।'

.