This Article is From Feb 05, 2020

দিল্লি নির্বাচনের আবহেই রামমন্দির ট্রাস্টের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী: ১০টি তথ্য

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য তৈরি করা ট্রাস্টের নাম হবে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের সিদ্ধান্ত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয়েছে

হাইলাইটস

  • রাম মন্দির নির্মাণের কাজ সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশেষ ট্রাস্ট
  • লোকসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
  • নয়া ওই ট্রাস্টের নাম হল "রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র"
নয়া দিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আর মাত্র দুদিন বাকি, তারমধ্যে বুধবার অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্টের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যখনই তিনি ঘোষণা “গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা” করেন, অযোধ্যা মন্দির নিয়ে, দিল্লি নির্বাচনের আবহে তা করলেও, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরকারকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, সেই কারণে এক্ষেত্রে আদর্শবিধি লঙ্ঘিত হবে না।

  1. লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে যাচ্ছি এবং তাতি আমি খুবই আনন্দিত। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য একটি বিশদ পরিকল্পনা তৈরি করেছে সরকার। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমার সরকার, তারাই রামমন্দির নির্মাণ, এবং তার সম্পর্কে অন্যান্য বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে”।
     

  2. প্রধানমন্ত্রী জানান, এলাকার পুরো ৬৭ একর জমিই ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, “অযোধ্যার পবিত্রতা রক্ষা এবং মন্দির নির্মাণের জন্য, কোটি কোটি ভক্তদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রাখা হয়েছে”।
     

  3. প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের সিদ্ধান্ত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ওপর নির্ভর করে, যারা জানিয়েছিল, অযোধ্যার পুরো জমি হিন্দু ও মুসলিমদের জমির যে মালিকানার দাবি, তা পুরোটাই রামলালা বা শিশু রামের। আদালত আরও জানায়, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকেও পাঁচ একর জমি দিতে হবে এই পবিত্র শহরের কোনও ভাল জায়গায়।
     

  4. অযোধ্যার মন্দির ভবন থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার একটি জায়গায় মসজিদের জমি চিহ্নিত করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মন্দির থেকে নির্দিষ্ট দূরে মসজিদের জমির দাবি জানিয়েছেন হিন্দু পুরোহিতরা।
     

  5. ঘোষণা করার জন্য এদিন সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সরাসরি লোকসভায় চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর পরণে ছিল ধুসর জ্যাকেট এবং গেরুয়া মাফলার। বিজেপি সাংসদরা “জয় শ্রীরাম” স্লোগান তুলতে থাকেন, তাঁদের সংসদে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল।
     

  6. প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আসুন আসুন, আমরা সবাই মিসে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করি”, তিনি একথা বলতেই টেবিল চাপড়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন সরকারপক্ষের সাংসদরা।
     

  7. প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে স্যালুট জানাই”, তিনি আরও বলেন, হিন্দু হোক, মুসলিম, শিখ, খ্রিশ্চান, বৌদ্ধ, পার্সি অথবা জৈন সবাই বৃহত্তর পরিবারের সদস্য ছিলেন।  প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “পরিবারের সবার জন্যই উন্নয়ন প্রয়োজন। সবাই যাতে খুশি থাকতে পারে, তার জন্য আমাদের সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশের মন্ত্রে চলছে”।
     

  8. সূত্রের খবর, মন্দিরের ট্রাস্টে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাকে রাখা হয়নি।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ট্যুইট করেন, “একজন দলিত সহ রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে থাকবেন ১৫ জন ট্রাস্টি। সামাজিক সাম্যতার জন্য এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের কারণে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানাই”।
     

  9. ওই জায়গায় মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট তৈরি করতে সরকারকে ৩ মাসের সময়সীমা দিয়েছে সু্প্রিম কোর্ট, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ভাঙার আগে পর্যন্ত সেখানে ১৬শতকের মসজিদটি ছিল।
     

  10. দিল্লির প্রচারে মেরুকরণের আবহেই এই ঘোষণা, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগে বিক্ষোভ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত বিজেপি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আম সুপ্রিমোর অভিযোগ, যেহেতু বিজেপির অন্য কিছুই করার নেই, সেই জন্য নিরুপায় হয়ে ভোটারদের মেরুকরণের চেষ্টা করছেন অমিত শাহ এবং বিজেপি। গত দুদশক ধরে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ ছিল বিজেপির নির্বাচনে ইস্তেহারের ইস্যু। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এতে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল না, কারণ, সুপ্রিম কোর্টই ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ট্রাস্ট গঠনের সময়সীমা দিয়েছে এবং সরকারকে রিপোর্ট জানাতে হত।



Post a comment
.