This Article is From Aug 12, 2020

"১০ রাজ্য কোভিডকে হারাতে পারলেই জিতবে ভারত": মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

Coronavirus India: মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশ, এই ৫ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

PM Narendra Modi: এর আগেও দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী

হাইলাইটস

  • দেশের করোনা পরিস্থিতি সঙ্কটজনক
  • আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী
  • ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও
নয়া দিল্লি:

দেশের যে ১০ টি রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, সেই রাজ্যগুলোতে যদি কোনওভাবে করোনাকে বাগ মানানো যায় তবে ভারত কোভিড যুদ্ধে জিততে পারবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের (Chief Ministers) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে একথা বলেন তিনি। দেশে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus Situation) রোখা যাচ্ছে না, বরং গত কয়েকদিনে বিশ্বের সব দেশকে দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। তাই এই অবস্থায় কীভাবে করোনার মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের (Chief Ministers) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এর আগেও দেখা গেছে, দেশের করোনা পরিস্থিতি (Coronavirus crisis) মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মোদি সপ্তমবার বৈঠকে বসেন।

গত মাস থেকেই "আনলক ৩" পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সারা দেশ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের বিধিনিষেধ লঘু করার সঙ্গে সঙ্গেই অত্যন্ত দ্রুত হারে করোনা ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই শাসকদল বিজেপির অন্যতম স্তম্ভ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও রেহাই পাননি করোনা সংক্রমণ থেকে। এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন গেরুয়া দলের আরও বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীও। ফলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মোদি সরকারের।

সকাল ১১ টা থেকে এই বৈঠক শুরু হয়। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। 

মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে "এখনও পর্যন্ত আমাদের যা অভিজ্ঞতা তা হচ্ছে, করোনা মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে রোগীদের সন্ধান করা, তাঁদের উপর নজর রাখা এবং কনটেইনমেন্ট করা, এই তিনটে ব্যাপারই সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হিসাবে উঠে আসছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে যদি করোনা সংক্রমিত হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের চিহ্নিত করা হয় তবে সেই রোগীর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।" 

এদিকে করোনার প্রকোপের মধ্যেই নতুন সঙ্কট দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি। সোমবার তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং কেরল এই ৬টি রাজ্যের বন্যা-পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই মারাত্মক হচ্ছে। এর আগে গত জুন মাসে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নানা পরিকল্পনার পরেও নতুন সংক্রমণের গতি রোধ করা যাচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মঙ্গলবার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে ৫৩,৬০১ জনের শরীরে। ফলে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশের ২২,৬৮,৬৭৫ জন মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। দেশে ৪৫,২৫৭ জনের প্রাণ কেড়েছে ওই মারণ ভাইরাস।তবে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও। এপর্যন্ত মোট ১৫,৮৩,৪৮৯ জন এই রোগের সঙ্গে যুঝে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। ফলে করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে এখন ৬৯.৭৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

করোনা সংক্রমণের হিসাবে বিশ্বতালিকায় ৩ নম্বরে থাকলেও এই নিয়ে সপ্তম দিন দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে শীর্ষে রইলো ভারত। গত ৭ দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের থেকেও বেশি মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছে ওই রোগে।

.