This Article is From Jun 12, 2019

বীরভূমে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ, আক্রান্ত পুলিশ

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের থামাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেই আহত হন নানুর(Nanoor) থানার ওসি মনোজ সিং সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী।

বীরভূমে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ, আক্রান্ত পুলিশ
সিউরি:

সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য। তারমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূম (Birbhum)। বীরভূমের সিউরিতে বিজেপি (BJP) কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। রাস্তা অবরোধ করতে গিয়ে বিজেপি কর্মীরা আহত হন বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক। মঙ্গলবার রাতে বীরভূমের নানুর থানার বান্দার গ্রামের একটি সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি (BJP)কর্মীরা। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের থামাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেই আহত হন নানুর(Nanoor) থানার ওসি মনোজ সিং সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। যদিও জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, “কোনও পুলিশ কর্মী আহত হন নি। পাঁচজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে”। অবরোধ উঠে যাওয়ার পরেই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

শুক্রবার সন্দেশখালি যাচ্ছে জাতীয় তপশিলি জাতি কমিশন

বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মণ্ডল বলেন, “বিজেপি কর্মীদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার এবং হেনস্থার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবাদ করছিলেন আমাদের কর্মীরা। সেই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আমাদের সমর্থকদের দিকে পাথর ছোঁড়ে তৃণমূল সমর্থকরা”। অন্যদিক, জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিনহা বলেন, “শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশের ওফর হামলা চালায় তারা। বিজেপি সমর্থিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন আমাদের সমর্থকরাও”। লোকসভা নির্বাচনের আবহেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য। এমনকী, সাত দফা নির্বাচনেও রাজ্যে রক্ত ঝড়েছে, ঘটেছে প্রাণহানির ঘটনাও। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির গতবারের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয়েছে, অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ৩৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২২। লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর এসেছে।

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল

রাজ্যে হিংসার ঘটনায় নবতম সংযোজন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষ হয়।তিনজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট হাসপাতালে। সেখানেই দুজনকে তাদের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি, তৃতীয় জনকে নিজেদের সক্রিয়  কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে, রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshrinath Tripathi) এমনটাই খবর রাজভবন সূত্রে।  রাজ্যের সমস্ত বড় দল দলকে চিঠি  দিয়ে ওইদিন বিকেল চারটেয় বৈঠকে হাজির থাকতে বলেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshrinath Tripathi), সূত্র  মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারের তরফেই এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা ত্রিপাঠীর চিঠি পেয়েছি। আমরা আগামিকালের বৈঠকে যোগ দিতে পারি”। তবে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পায় নি। তৃণমূলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “এমরা চিঠি পাই, তারপর এটা নিয়ে ভাবব”।

.