বাংলায় আজ নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা মুখোমুখি হবেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করবেন। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অনুষ্ঠানটিকে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। কিন্তু, নিজের দেশের সাধারণ নির্বাচনের মাস ছয়েক আগে শেখ হাসিনার এই অনুষ্ঠানে আসা অন্য বার্তাও বহন করে আনছে।
তিস্তা জলবন্টন নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা বহু বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এছাড়া, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হবে। মায়ানমার জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে বসবস করা 10 লক্ষ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে তারা ফিরিয়ে নিতে রাজি। ঢাকা চায়, মায়ানমারকে নিজেদের কথা রাখার জন্য যেন চাপ দেয় দিল্লি।
নিরাপত্তার স্বার্থে, ভারত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ঢুকতে দেয়নি। এই সপ্তাহের শুরুতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছিল, গত বছরের অগস্ট মাসে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা একদিনে 99 জন হিন্দুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল।
ওই একই মাসে, রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা মায়ানমারের রাখিনেতে বহু নিরাপত্তা রক্ষীকেও হত্যা করেছিল।
এছাড়া, আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। তাই সেখানে আচার্য হিসাবে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি। হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনও হবে আজ। ওই ভবনে লাইব্রেরি, সেমিনার হল, প্রেক্ষাগৃহ- সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে।
বিকেলবেলা শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতা উড়ে আসবেন শেখ হাসিনা। তারপর রয়েছে রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নৈশভোজ।