This Article is From Jan 28, 2019

"বহু প্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে রাজ্য সরকার", সারদা নিয়ে জানাল সিবিআই

কবে সারদা ও রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডের চার্জশিট পেশ করা হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই অফিসার জানান, কোনও পাকাপাকি তারিখ বলা এখন সম্ভব না তাঁদের পক্ষে।

২০১৪ সালে চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় সিবিআই (ছবি প্রতীকী)

কলকাতা:

সারদার চিটফান্ডের কোটি কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সাফ জানাল, এই মামলার চার্জশিট ফাইল করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। কেন এই গড়িমসি, তার ব্যাখা দিতে গিয়ে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সিবিআইয়ের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “সারদা মামলা নিয়ে তদন্ত করার সময় সিবিআইকে বহু বাধা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে বহু প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। আর এইসব কারণের জন্যই চার্জশিট ফাইল করতে আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে”। তিনি আরও জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে সিবিআইয়ের ‘জেনারেল কনসেন্ট' প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ব্যাঙ্কিং সিকিউরিটি ফ্রড ব্রাঞ্চ এবং ইকোনমিক অফেন্স ব্রাঞ্চের মতো অংশগুলি এখন কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। একমাত্র চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত করছে যে শাখাটি, তারাই আপাতত সক্রিয়।

২ টাকা কেজি দরের চালের সুবিধা পান রাজ্যের সাড়ে আট কোটির বেশি মানুষ, বললেন মমতা

কবে সারদা ও রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডের চার্জশিট পেশ করা হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ওই অফিসার জানান, কোনও পাকাপাকি তারিখ বলা এখন সম্ভব না আমাদের পক্ষে।

গত ২৫ জানুয়ারি বাংলা ছবির প্রখ্যাত প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতারের ব্যাপারেও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ওই দিন কসবা থানা থেকে পুলিশ এসে সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কেন তাঁরা এসেছেন ভেঙ্কটেশের অফিসে, গোয়েন্দাদের এই প্রশ্নও করেছিল কসবা থানার পুলিশ। ওটা পুলিশের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। কোনওভাবেই কর্তব্যরত সিবিআই গোয়েন্দাদের নিজেদের কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারেন না তাঁরা। বলেন ওই সিবিআই কর্তা।

নিজেদের দুর্নীতিগুলো নিয়ে ভয় আছে বলেই ওরা একসঙ্গে, বিরোধীদের তোপ মোদীর

শ্রীকান্ত মোহতার বিরুদ্ধে রোজভ্যালির ২৫ কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত মলের ১৮ তলার ঝাঁ-চকচকে অফিসে ২৫ জানুয়ারি হাজির হয় সিবিআই। বেশ কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরও শ্রীকান্তের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনি তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ' বলেই পরিচিত।

সিবিআই তো মুণ্ডহীন, বিজেপির কথামতো চলে, উষ্মাপ্রকাশ করলেন মমতা

২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় সিবিআই। তারপর থেকে তাদের জালে উঠেছে একের পর এক রাঘববোয়াল। কবে জমা পড়বে চার্জশিট, তার উত্তর এখনও নেই। তবু, আশায় দিন গুনছে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রতারিত মানুষ।  

(পিটিআই থেকে পাওয়া তথ্য)

.