This Article is From Mar 02, 2020

Nirbhaya case: আগামিকাল ফাঁসি নয় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের, জানাল দিল্লি আদালত

Nirbhaya case: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফাঁসি রদ করতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিং

Nirbhaya case: আগামিকাল ফাঁসি নয় নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের, জানাল দিল্লি আদালত

Nirbhaya case: আগামিকাল সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল নির্ভয়া অপরাধীদের

নয়াদিল্লি:

দিল্লিতে ২০১২ তে (2012 Delhi Gangrape and Murder) ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় চারজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আগামিকাল ফাঁসি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিলেন দিল্লি আদালতের বিচারক। এখনও পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্তদের একজনের রাষ্ট্রপতির কাছে করা প্রাণভিক্ষার আর্জি বকেয়া পড়ে রয়েছে, বিচারক বলেন, এখনও সমস্ত আইনি রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে পারেনি অপরাধীরা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফাঁসি রদ করতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে নির্ভয়াকাণ্ডে (Nirbhaya Convicts) সাজাপ্রাপ্ত অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা এবং মুকেশ সিং। ২০১২ এর ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে প্যারামেডিক্যালের ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করে ৬ জন, তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ১৮ বছরের কম।

জেলের মধ্যেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এক অভিযুক্ত রাম সিং এর। তিন বছর সংশোধনাগারে রেখে অভিযুক্ত কিশোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

"আপনারা আগুন নিয়ে খেলছেন," আসামিদের ফাঁসি স্থগিতের আবেদন খারিজ করে ধমক আদালতের

২০১২ এর ১৬ ডিসেম্বরে ওই প্যারামেডিক্যালের ওই ছাত্রীর ওপর নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়. পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা দেশ তাঁকে “নির্ভয়া” নাম দেয়, এবং দোষীদের সাজার দাবিতে বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে।

তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলা হয়। এদিনের রায়ের পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্ভয়ার আইনজীবী। তাঁদের পক্ষের আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা বলেন, “আদালত কি আইনের খেলা বুঝতে পারছে না? আমাদের ব্যবস্থা পুরো পচনশীল। বিচার পেতে বছরের পর বছর লেগে যায়। আমাদের সম্মিলিতভাবে এর সংশোধন প্রয়োজন”।

গতমাসে, আইন সংশোধনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার, এই আইন অপরাধীদের পক্ষে বলে মন্তব্য করে কেন্দ্র। 

একের পর এক আবেদন জানাতে থাকে সাজাপ্রাপ্তরা, ফলে সাময়িক স্বস্তি পেতে থাকে তারা, নিজের পদক্ষেপের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করে পবন গুপ্তা।

নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের অঙ্গদানের আর্জি, ‘মানবিক' হতে বলল শীর্ষ আদালত

এদিন সকালে, সুপ্রিম কোর্টে তাঁর প্রাণভিক্ষার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ায়, রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানায় সে, এবং ফাঁসি রদের আবেদন জানায় দিল্লি আদালতে।

পবনের আইনজীবীকে বিচারক বলেন, “আপনি আগুন নিয়ে খেলছেন, আপনার সতর্ক হওয়া উচিত”।

এর আগেও দুবার ফাঁসির দিন ধার্য হয়েও, পরে তা পিছিয়ে যায়, প্রথম দিন ছিল ২২ জানুয়ারি, পরে তা ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি, দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, সমস্ত আইনি রক্ষা কবচের জন্য সাজাপ্রাপ্তদের হাতে এক সপ্তাহ সময় রয়েছে,তারমধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে  প্রাণভিক্ষার আর্জি, এবং আদালতের তরফে জানানো হয়, সাজাপ্রাপ্তদের আলাদা করে ফাঁসি দেওয়া যাবে না।

.