This Article is From Mar 02, 2020

নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের অঙ্গদানের আর্জি, ‘মানবিক’ হতে বলল শীর্ষ আদালত

শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড তার পরিবারের সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত। আপনি (আবেদনকারী) চান তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হোক...’’

নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের অঙ্গদানের আর্জি, ‘মানবিক’ হতে বলল শীর্ষ আদালত

মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ফাঁসি হওয়ার কথা চার অপরাধীর।

হাইলাইটস

  • নির্ভয়া কাণ্ডের চার অপরাধীর ফাঁসি হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়
  • চার আসামির অঙ্গদানের আবেদনও খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট
  • এদিন পবন গুপ্তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি:

নির্ভয়া কাণ্ডের (Nirbhaya case) আসামিদের ফাঁসি স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। এদিনই ওই চার আসামির অঙ্গদানের আবেদনও খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২৩ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে ওই চারজনের ফাঁসি হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়। সোমবার তাদের মরণোত্তর অঙ্গদানের আর্জি জানানো হলে আবেদনকারীদের ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত তাঁদের ‘মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে' বিষয়টিকে দেখার কথা বলে। শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘একজন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড তার পরিবারের সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত। আপনি (আবেদনকারী) চান তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হোক... একটু মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন।'' সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, ‘‘অঙ্গদানকে হতে হয় ঐচ্ছিক।''

ওই পিটিশনটি জমা দেন প্রাক্তন বিচারক এমএফ সালদানায়। তিনি শীর্ষ আদালেতর কাছে আর্জি জানান তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে একটা সুযোগ দেওয়া হোক ওই চার অপরাধীর শরীরকে চিকিৎসার কাজে গবেষণা ও অঙ্গদানের কাজে লাগানোর জন্য। পাশাপাশি তিনি আরও আর্জি জানান, সমস্ত মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে এটি একটি শর্ত হিসাবে রাখা হোক।

এদিন শীর্ষ আদালত নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী পবন গুপ্তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তাদের ফাঁসি হওয়ার কথা। পবন গুপ্তা এর আগে কিউরিটিভ পিটিশন দাখিল করেনি। এবার সেও সেই পিটিশন দাখিল করেছিল। সেটি খারিজ করে দিল‌ সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট মুকেশকুমার সিংহ ও বিনয়কুমার শর্মার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছিল তারা। অক্ষয় কুমার অবশ্য এখনও প্রাণভিক্ষা খারিজকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছ'জন ব্যক্তি, যাদের মধ্যে একজন নাবালকও ছিল, তারা ২৩ বছরের এক তরুণীকে চলন্ত বাসের মধ্যে গণধর্ষণ করে। অন্যতম অভিযুক্ত রাম সিংহ জেলেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। নাবালকটিকে তিন বছর সংশোধনাগারে থাকার পর মুক্তি দেওয়া হয়।

.