This Article is From Aug 10, 2019

'দলীয় কর্মীরাও সুন্দরী কাশ্মীরিদের বিয়ে করতে পারবেন': রসিকতা হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রীর

গত সপ্তাহেই দলীয় কর্মীদের নাকি শৃঙ্খলা রক্ষার ক্লাস করিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি? তারপরেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী  মনোহর লাল খট্টর রসিকতা করলেন কাশ্মীরী মেয়েদের নিয়ে

জনসভায় রসিকতা মনোহর লাল খট্টরের!

নয়া দিল্লি:

গত সপ্তাহতেই নাকি জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে দলীয় কর্মীদের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্লাস করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? তারপরেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী  মনোহর লাল খট্টর (Haryana Chief Minister Manohar Lal Khattar) রসিকতা করলেন কাশ্মীরী মেয়েদের নিয়ে। এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তাঁর মন্তব্য, এবার দলীয় কর্মীরাও সুন্দরী কাশ্মীরী মেয়েদের ("fair Kashmiri women") বিয়ে করতে পারবেন। এই মন্তব্য ছড়াতেই যথারীতি শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। বিষয়টি চাপা দিতে মনোহর বলেন, তিনি রসিকতা ("joke") করেছেন মাত্র। কিন্তু ততক্ষণে বিরোধী দলগুলির ক্ষোভ, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কের পর সেই একই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীও। এই মোদির নীতিশিক্ষা! 

সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর

শুক্রবারের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে খট্টর বলেন, "আমাদের মন্ত্রী ধনকারজি বলতেন, মেয়ের সংখ্যা কমে ছেলের সংখ্যা বাড়লে সমানুপাত আনতে বিহার থেকে বউমা আনব। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ায় এবার সেখান থেকেও সুন্দরী বউমা আনা যাবে। যদিও পুরোটাই মজার ছলে বলা। যদি সেখানে নারী-পুরুষের সমানুপাত ঠিক থাকে তবে সবদিক থেকেই মঙ্গল।" 

প্রসঙ্গত, ২০১৪-য় হরিয়ানার অল্পবয়সী যুবকদের তৎকালীন বিজেপি নেতা ওপি ধনকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যে নারীর সংখ্যা কমে গেলে বিহার থেকে তিনি বউমা আনবেন। 

এই প্রসঙ্গে খট্টরের মন্তব্য, "আমাদের রাজ্য নিয়ে অভিযোগ, এখানে কন্যা ভ্রূণ হত্যার ফলে নাকি নারী সংখ্যা কমে গেছে। তারপরেই আমরা মেয়েদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিই। আগে নারী-পুরুষের সমানুপাত ছিল প্রতি হাজার যুবকের মধ্যে মাত্র ৮৫০। সেই অনুপাত বেড়ে হয়েছে ৯৩৩। "  তাঁর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক আগে রাজ্য এবং দেশ--দুই তরফেরই নাগরিকত্ব ভোগ করত। ৩৭০ অনুচ্ছেদ উঠে যাওয়ায় সেই সুবিধে আর ভোগ করতে পারবে না।  

'দোস্তি'-তে অরাজি পাকিস্তান, ট্রেনের পর এবার বন্ধ দিল্লি-লাহোর বাস পরিষেবা

খট্টরের এই মন্তব্যের পরেই মুখ খোলেন রাহুল গান্ধি। তিনি হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, মনোহরজির কথা শুনে মনে হচ্ছে নারী যেন পুরুষের সম্পত্তি। এই কি সংঘের শিক্ষা! কংগ্রেস সাংসদ পিএল পুনিয়ার মতে, মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এরকম দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্য করতে পারেন! 

কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশ্যে খট্টরের কটাক্ষ, বিকৃত মন্তব্য নিয়ে মতামত দেওয়া উচিত নয়। 

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করেন:

মনোহর লাল খট্টর এর আগেও এই ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ২০১৮-য় তিনি বলেছিলেন, অনেক মেয়েই ছেলেদের ধর্ষণের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে আইনের অন্যায় সুযোগ নেয়। ৮০-৯০ শতাংশ ধর্ষণ ঘটে পরিবারের মধ্যেই। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর যখন শারীরিক সম্বন্ধ করতে চায় পুরুষ তখনই মেয়েরা তাদের নামে থানায় এফআইআর দায়ের করে।

তথ্যসূত্র এএনআই

.