This Article is From Apr 19, 2019

মুলায়ম মোদীর মতো ভন্ড নন, উত্তরপ্রদেশের সভা থেকে দাবি মায়াবতীর

সভার শুরু থেকেই মুলায়ম এবং মায়াবতী কে পাশাপাশি বসতে দেখা যায় দলীয় কর্মী এবং নেতাদের মায়াবতীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার কথা বলেন মুলায়ম

এই প্রথম নয় এর আগেও জোট করেছিল এই দুটি দল

হাইলাইটস

  • মুলায়ম মোদীর মতো ভন্ড নন, উত্তরপ্রদেশের সভা থেকে দাবি মায়াবতীর
  • লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরনো তিক্ততা ভুলে জোট করেছে দুটি দল
  • এর আগে শরীর খারাপ হওযায় তিনটি সভায় গড়হাজির ছিলেন মুলায়ম
নিউ দিল্লি:

২৪ বছর আগে লখনউ গেস্ট হাউসে সমাজবাদী পার্টির কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মায়াবতী। তারপর থেকেই সপা এবং বসপা  সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করে। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরনো তিক্ততা ভুলে জোট করেছে দুটি দল। আর শুধু তাই নয় শুক্রবার উত্তর প্রদেশের মৈনপুরীতে একসঙ্গে সভা ও করলেন মায়াবতী এবং মুলায়ম সিং যাদব। ছিলেন অখিলেশ যাদবও। শুধু এক মঞ্চে হাজির থাকা নয় মুলায়ম সিং যাদবের হয়ে প্রচার করলেন মায়াবতী। সভায়  তিনি বললেন মুলায়ম মোদীজির মতো ভন্ড নন, তিনি প্রকৃতই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের নেতা। রাজনীতিতে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবতে হয়। মুলায়ম সিং যাদব সব সময় চেয়ে এসেছেন যাতে মহিলারা কোনও ভাবেই নিজেদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হন।

উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির এই বিরল দৃশ্য বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাধা দলগুলির মনোবল বাড়বে বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের বিশ্বাস।

সভার শুরু থেকেই মুলায়ম এবং মায়াবতী কে পাশাপাশি বসতে দেখা যায় দলীয় কর্মী এবং নেতাদের মায়াবতীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার কথা বলেন মুলায়ম। তাঁকে বলতে শোনা যায় মায়াবতীজিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমি চিরকাল তাঁকে শ্রদ্ধা করে এসেছি।

এবারও মৈনপুরী থেকেই নির্বাচনে লড়ছেন মুলায়ম। এই কেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির খাস তালুক বলেই পরিচিত। সেখানে মায়াবতীকে দিয়ে প্রচার করানোর মূল উদ্দেশ্যই বৃহত্তর ক্ষেত্রে বার্তা দেওয়া। যাতে অন্যত্র দুটি দল একসঙ্গে কাজ করতে পারে সেই পথই সুগম  করলেন দু'দলের শীর্ষ নেতারা.

তবে এই প্রথম নয় এর আগেও জোট করেছিল এই দুটি দল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে সেই জোট ভেঙে যায়। সে সময় সপা সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ভাবছিলেন মায়াবতী। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এমনই সময় ঘটে যায় লখনও গেস্ট হাউস কাণ্ড। তারপর থেকেই আলাদা হয়ে যায় দুটি দলের পথ। যতদিন পর্যন্ত মুলায়মের হাতে দলের আসছিল ততদিন মায়াবতীর সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগই অসম্ভব ছিল অখিলেশ দায়িত্বে আসার পর মায়াবতীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন আর এখন উত্তর প্রদেশ এই দুজনকে বুয়া এবং বাবুয়া বলে সম্বোধন করা হয় লোকসভা নির্বাচনের জোট করার আগে দুটি দল কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে এক সঙ্গে লড়াই করে এবং তাতে কাইরানা থেকে শুরু করে গোরক্ষপুর এবং ফুলপুরে বিজেপিকে হারাতেও সক্ষম হয় তারা।

.