This Article is From May 16, 2019

“নির্বাচন কমিশনের জন্য দুঃখ হয়” প্রচারের সময় কমানো নিয়ে বললেন মমতা

Election 2019: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মোদীজী আপনি, আপনার স্ত্রীর দেখভাল করেন নি, আপনি কী করে দেশকে দেখবেন”।

“নির্বাচন কমিশনের জন্য দুঃখ হয়” প্রচারের সময় কমানো নিয়ে বললেন মমতা
নিউ দিল্লি:

কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শোকে কেন্দ্র করে অশান্তির কারণে শেষ দফারের সময়সীমা কমিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন কমিশনের জন্য আমার দুঃখ হয়”। শুক্রবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত সময় থাকলেও বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত সময় দিয়েছে কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সুবিধার জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। রাজ্যে দুটি সভা রয়েছে তাঁর। দেশের মধ্যে এই ধরণের সিদ্ধান্ত এই প্রথম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তার কয়েকঘন্টা পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল কংগ্রেসও।

বৃহস্পতিবার শেষ করতে হবে শেষ দফার ভোটপ্রচার: নির্বাচন কমিশন

মঙ্গলবারের অশান্তির ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস। অশান্তির জন্য ভাঙা পড়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি।ভিডিও প্রকাশ করে দুই দলই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন এবং অমিত শাহের দ্বারা অপমানিত হয়েছে বাংলার মানুষ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস না জেনে বাইরে থেকে গুণ্ডাবাহিনী নিয়ে এসে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বাংলার মানুষকে অপমান করেছেন অমিত শাহ। অন্যদিক, দোষীদের ছেড়ে দিয়ে একই কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিজেপির সঙ্গে ঝামেলার মধ্যেই, “প্রমাণ” চাইল তৃণমূল

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের তরফে, সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রচারের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কোনও ভিত্তি নেই। তাঁর কথায়, “বাংলার আইন শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই”।

নির্বাচনী প্রচারে এই প্রথমবার সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। এই ধারা ব্যবহার করা হয়, বাতিল, স্থগিত, বা নির্দিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ রবিবার। ওইদিন রাজ্যের ৯ আসনে ভোট। ৬ দফার ভোট ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি দফায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার খবর এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির কর্মী, প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বুধবার বসিরহাটের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, নির্বাচনীর ফলে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং “নিজের ছায়াকে ভয় পাচ্ছেন”।

তাঁর কথায়, “মমতাদিদি দুদিন আগে জনসভায় বলেছেন, বদলা নেবেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তাঁর এজেন্ডা পূর্ণ করলেন, অমিত শাহের রোড শোয়ে হামলা চালানো হয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে বিজেপির হাওয়া দেখে মমতাদিদি ভয় পাচ্ছেন। এখন সবাই জানে, ভয় পেলে তিনি কী করতে পারেন”।

.