This Article is From May 12, 2019

ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে আহত হলেন তৃণমূল কর্মী, এজেন্ট বসাতে গিয়ে আক্রান্ত প্রার্থীও

Lok sabha Election 2019: সকালে তিনি খবর পান কেশপুর এলাকার বেশকিছু বুথে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্টের বসতে দেওয়া হচ্ছে না

ভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে আহত হলেন  তৃণমূল কর্মী, এজেন্ট বসাতে গিয়ে আক্রান্ত প্রার্থীও

Lok sabha Election 2019: ধাক্কাধাক্কির সময় মাটিতে পড়ে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের এই প্রাক্তন পুলিশ সুপার

হাইলাইটস

  • বুথে এজেন্ট বসাতে গিয়ে ‘নিগৃহীত’ হয়ে কাদলেন ভারতী
  • বুথে ঢোকার মুখেই তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা তাঁকে বাধা দেয়
  • প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় ওই বুথের পাশেই থাকেন ভারতী
ঘাটাল:

নির্বাচনী এজেন্টকে বুথে বসাতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হাতে ‘আক্রান্ত' হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভারতী ঘোষ (Bharati Ghosh)। পাশা পাশি  তাঁর নিরাপত্তা  কর্মীর বিরুদ্ধে  তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে  গুলি চালানোর অভিযোগও উঠল। তৃণমূলের দাবি প্রার্থীর নির্দেশেই গুলি চালান হয়েছে।   ঘাটাল লোকসভা (Lok sabha Election)  কেন্দ্রের এই বিজেপি প্রার্থী একসময়ের আই পি এস অফিসার ছিলেন। আজ সকালে তিনি খবর পান কেশপুর এলাকার বেশকিছু বুথে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্টেদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। সেরকমই একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যান ভারতী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এজেন্ট। কিন্তু বুথে ঢোকার মুখেই তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা তাঁকে বাধা দেয়। কার্যত ভারতী ঘোষকে  ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাদের  অভিযোগ কেশপুরের কোথায় বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। তবু প্রার্থী অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিজেপি কর্মীরা আগে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে এই দাবিকে সামনে রেখে মহিলা কর্মীরা বলতে থাকেন ভারতী ঢুকতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছিলেন না। রাজ্য পুলিশ থাকলেও মহিলা পুলিশ না থাকায় কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি।

প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় ওই বুথের পাশেই থাকেন ভারতী। তবু তাঁর এজেন্টকে বুথের ভেতর বসানোর ব্যবস্থা করা যায়নি। এরই মাঝে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির সময় মাটিতে পড়ে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের এই প্রাক্তন  পুলিশ সুপার পড়ে গিয়ে পায়ের নখে চোট লাগে। আরও কিছুটা পরে তাকে কাঁদতে দেখা যায়। টেলিভিশনের ক্যামেরায় সেই ছবিও ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘ তৃণমূল পরিকল্পনা করে গোটা বিষয়টি করেছে। এই এলাকাতেই কেশপুরের ভেতরে ঢুকতে হয়। তাই এখানেই আমাকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল। যাতে আমি বাকি বুথগুলোয় যেতে না পারি। তার জন্যই এই ছক করেছে তৃণমূল। একইভাবে হুগলিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি সমস্ত জায়গায় ঘুরবো। গোটা কেশপুর জুড়ে সন্ত্রাস চলছে। একাধিক বুথে আমাদের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পেয়েছি এক এক করে সব জায়গাতেই যাব।

.