Lata Mangeshkar Health Update: সোমবার মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে আশা ভোঁসলে।
নয়াদিল্লি: লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) শারীরিক অবস্থা “স্থিতিশীল এবং অনেকটাই ভালো” হলেও এখনই ছাড়া মিলছে না হাসপাতাল থেকে। গায়িকার পরিবারের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “প্রার্থনা করার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ। লতা দি স্থিতিশীল এবং আগের থেকে ভালো অনেকটাই। আমরা সবটুকু চেষ্টা করছি, অপেক্ষা করছি আমরা যাতে শিগগিরই লতাদিকে ঘরে ফেরাতে পারি।" শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ৯০ বছরের গায়িকা লতা মঙ্গেশকরকে সোমবার ভোরে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের (Breach Candy Hospital) ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরিবার পরে জানিয়েছে, ভাইরাল সংক্রমণে ভুগছেন গায়িকা। “তিনি এখনও ICU-তে রয়েছেন এবং ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তাঁর সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে,” হাসপাতালের এক সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছে। লতা মঙ্গেশকারের ভাগ্নী রচনা শাহ গতকাল পিটিআইকে জানিয়েছেন কিছু দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে গায়িকাকে।
আরও পড়ুনঃ লতা মঙ্গেশকরকে কি কপি করেন রাণু, কী বললেন হিমেশ রেশমিয়া?
মঙ্গলবার ব্রিচ ক্যান্ডির তরফে জানানো হয়েছে, লতা মঙ্গেশকরের স্বাস্থ্যের ‘ধীরে ধীরে উন্নতি' হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় একটি পারিবারিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তাঁর সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালোর দিকেই। তিনি এতটাই ভাল লড়াই করেছেন যে প্রাথমিক এই ধাক্কা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। গান গাওয়ার জন্যই ফুসফুসের ক্ষমতা খুব ভালো ছিল তাঁর। সত্যই একজন যোদ্ধার মতো সামলেছেন শরীরের অসুস্থতা। যখন লতাজি ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন, আমরা সকলকে জানাব। আমরা অনুরোধ করছি এই মুহুর্তে পরিবারকে তাদের মতো থাকতে দিন।” লতা মঙ্গেশকরের বোন আশা ভোঁসলে সোমবার তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান।
সোমবার মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে আশা ভোঁসলে।
আরও পড়ুনঃ ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদির আমলে দেশের ভাবমূর্তি বদলেছে'': লতা মঙ্গেশকর
‘ভারতের নাইটিংগেল' নামেই খ্যাত লতা মঙ্গেশকর দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম এবং ভারতরত্ন, পদ্ম বিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে সম্মানিত। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে অবার বড় লতা মঙ্গেশকর শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকারের কন্যা। ১৩ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু করেছিলেন লতা এবং শীঘ্রই বিখ্যাত শিল্পী হয়ে ওঠেন তিনি। লতা মঙ্গেশকর হিন্দি, মারাঠি, বাংলা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়েছেন। তাঁর গলায় অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগো ভারতের জন্য এক স্মরণীয় গান। চিনের সঙ্গে ভারতের ১৯৬২ সালের যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মরণে এই গান গেয়েছিলেন লতা।
লতা মঙ্গেশকর সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন। সঙ্গীত পরিচালনার জন্য মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের পুরস্কারেও সম্মানিত তিনি। কয়েকটি চলচ্চিত্রের প্রযোজনাও করেছেন লতা।