This Article is From Feb 26, 2019

কীভাবে পরিকল্পনা অপারেশন বালাকোট, জানুন

IAF strikes Balakot: বিভিন্ন দিক চিন্তা করা হয়েছিল, জানিয়েছে সূত্র, আরও জানা গেছে, “আশ্চর্যের উপাদান” ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ।

কীভাবে পরিকল্পনা অপারেশন বালাকোট, জানুন

বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ওপর হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০

নিউ দিল্লি:

১৯৭১ সাল থেকে প্রথমবার নিয়ন্ত্রণরেখা পার করল ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান, মঙ্গলবার ভোর ৩.৩০ নাগাদ জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হল, উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে পুরো অপারেশনে নজর রাখেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সঙ্গে রাখেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৪০ জন সিআরপিএফ সেনা জওয়ানকে হত্যা করা জইশ-ই-মহম্মদের, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বালাকোটের ঘাঁটিতে হামলা হয়।

সূত্রের খবর, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী, সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কঠোর বার্তা প্রয়োজন ভারতের।

জইশ ক্যাম্পে স্ট্রাইক হল ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে, অক্ষত অবস্থায় ফিরল বাহিনী, ১০ টি তথ্য

সূত্র মারফৎ জানা গেছে, “পুলওয়ামা নিয়ে বৈঠকে ১২ বার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং একটি শক্তিশালী জবাব দেওয়ার কথা বলেছে। জঙ্গিদেরও একটি বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।

 বিভিন্ন দিক চিন্তা করা হয়েছিল, জানিয়েছে সূত্র, আরও জানা গেছে, “আশ্চর্যের উপাদান” ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ। কাজটি করা হয়েছে, “ বিভিন্ন দিক এবং কর্মক্ষম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে”।

 

b8v95u58

নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে ১,০০০ কেজি বোমা নিক্ষেপ করে ১২ টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান।

গত কয়েকদিনের গোয়েন্দা রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে, বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে ৬ টি বোমা ফেলে জইশ প্রধান মাসুদ আজাহারের শ্যালক ইউসুফ আজাহার সহ ৩০০ এরও বেশী জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০। আত্মঘাতী বোমারুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত ক্যাম্পে।

এই হামলা চালাতে দেড় মিনিট সময় লাগে এবং কোনও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ১৯ মিনিটের অপারেশন শেষ করে যুদ্ধবিমানগুলি ফিরে আসে।

সমস্ত পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকুন, বায়ু সেনার হামলার পর পাকিস্তানের সেনা ও জনগণকে বার্তা ইমরানের

আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, সেই সময় ক্যাম্পের বেশীরভাগই সেই সময় ঘুমোচ্ছিল এবং পাকিস্তানী প্রতিরক্ষা বিভাগের কাছে এমন কোনও তথ্য ছিল না, যে তাদের দেশের এতটা ভিতরে ঢুকে হামলা হবে, কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আশঙ্কা করেছিল তারা।

কিন্তু ভারতের কাছে তথ্য আসে, বালাকোট ক্যাম্পে বহু জঙ্গি, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষকদের নিয়ে এসেছে জইশ, সেখানে ৫০০ থেকে ৭০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এমনকী, সুইমিং পুল এবং রান্নার ব্যবস্থাও রয়েছে।

দেশ সুরক্ষিত হাতে আছে, এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে মন্তব্য মোদীর

সূত্র মারফৎ জানা গেছে, একই সময়ে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানগুলি রওনা দেয়, ফলে ধন্দে পড়ে যায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা।

একটি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ঝাঁক থেকে একটি ছোটো অংশের যুদ্ধবিমান আলাদা হয়ে গিয়ে বালাকোটের যে জায়গায় ঘুমাচ্ছিল জঙ্গিরা সেদিকে চলে যায়।

.