গত বছরের অগস্টে এনএন ভোরার জায়গায় রাজ্যপাল হন সত্য পাল মালিক।
হাইলাইটস
- "উত্তাপ কমেছে", বললেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক
- সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানকে আলোচনা শুরু করার আবেদন করেছে হুরিয়ত
- গত বছরের অগস্টে রাজ্যপাল হন সত্য পাল মালিক
শ্রীনগর: আগের থেকে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতি, আর এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হুরিয়তরাও সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্যে প্রস্তুত, এমনটাই বললেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক(Satya Pal Malik)। শনিবার শ্রীনগরে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভূস্বর্গের রাজ্যপাল বললেন, বর্তমানে উপত্যকার উত্তাপ অনেকটাই স্তিমিত। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর এবং জিতেন্দ্র সিংও। রাজ্যপাল বলেন, “আমি এখানে আসার পর যে পরিস্থিতি ছিল, বর্তমানে তার থেকে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। হুরিয়তদের মধ্যেও (Hurriyat) একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। যখন রামবিলাস পাসোয়ান হুরিয়তদের দরজায় এসে কড়া নেড়েছিলেন তখন তাঁরা আলোচনায় রাজি ছিলেন না, কিন্তু বর্তমানে তাঁরা কথা বলতে প্রস্তুত”। তিনি(Satya Pal Malik) আরও বলেন, সুতরাং একটা পরিবর্তন পরিস্কার যে...উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থিতিয়ে এসেছে। আগে শুক্রবার প্রার্থনা চলাকালীন যে ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হত, বর্তমানে সেটাও বন্ধ হয়েছে, আমি চেষ্টা চালাচ্ছি যাতে ঘরছাড়ারা ফের ঘরে ফিরে আসতে পারে”।
“সহিষ্ণুতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”: ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন রিপোর্টের দাবি খারিজ করে বলল ভারত
সম্প্রতি হুরিয়ত প্রধান মিজওয়েজ উমর ফারুক বলেন যে কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) সমস্যা সমাধানের জন্যে ভারত ও পাকিস্তানের ফের একবার আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। হুরিয়ত প্রধানের এই মন্তব্যের পরেই কাশ্মীর পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরলেন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক(Satya Pal Malik)। প্রসঙ্গত, জম্মু কাশ্মীরের উরিতে ভয়াবহ জঙ্গি হানার পর থেকেই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা, বন্ধ রয়েছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনাও। ভারত বরাবর পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে এসেছে যে সন্ত্রাস ও আলোচনা কিছুতেই একসঙ্গে হওয়া সম্ভব নয়। গত বছরের অগস্টে জম্মু কাশ্মীরের পূর্বতন রাজ্যপাল এন এন ভোরার স্থলাভিষিক্ত হন বর্তমান রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক (Satya Pal Malik)। সে সময় জম্মু কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছিল।
বিচারপতি নিয়োগ করুন, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের
গত মার্চে, যখন নির্বাচন কমিশন দেশের সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে,সে সময়ই অন্যান্য স্থানের সঙ্গে জম্মু কাশ্মীরেও একযোগে ভোট প্রক্রিয়ার সম্পাদনের উদ্দেশ তুলে নেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামতও নেওয়া হয় সেসময়। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় ৪০ জন সেনার মৃত্যুর ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়। যদিও জম্মু ও কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir) কিছু রাজনৈতিক দল অভিযোগ করে যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সে রাজ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে আগ্রহী নয়।
গত মাসেই, নির্বাচন কমিশন ইঙ্গিত দেয় যে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। কমিশন জানায়, চলতি বছরেরই শেষের দিকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে তাঁরা।