This Article is From Mar 24, 2020

দিল্লিতে দেড় মিলিয়ন, কলকাতা-বেঙ্গালুরুতে সংক্রমণ ছোঁবে ৫০ হাজার?

ভারতে করোনা ভাইরাস (COVID-19) কত দ্রুত বাড়তে পারে সে বিষয়ে একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান দিল সরকার (Government)।

দিল্লিতে দেড় মিলিয়ন, কলকাতা-বেঙ্গালুরুতে সংক্রমণ ছোঁবে ৫০ হাজার?

১৫ লাখ যাত্রীর শরীরে সংক্রমণ মিলেছে (ফাইল চিত্র)

নয়া দিল্লি:

ভারতে করোনা ভাইরাস (COVID-19) কত দ্রুত বাড়তে পারে সে বিষয়ে একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান দিল সরকার (Government)। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ-এর (Indian Council of Medical Research) জার্নালের ২৭ ফ্রেব্রুয়ারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে কোভিড -১৯ সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই দিল্লিতে এই সংখ্যা ছোঁবে দেড় মিলিয়ন। কলকাতা এবং বেঙ্গালুরুতে এই সংখ্যা হতে পারে ৫০ হাজার। সমীক্ষা আরও বলছে, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে একলাফে এই পরিসংখ্যান বেড়ে দাঁড়াবে দিল্লিতে প্রায় ১০ মিলিয়ন এবং মুম্বইতে ৪ মিলিয়ন। 

করোনা মোকাবিলায় বুধবার থেকে দেশে বন্ধ সমস্ত বিমান চলাচল, জানাল কেন্দ্র

পাশাপাশি সরকার পক্ষের আরও দাবি, সংক্রমণের সংখ্যা সাধারণ মানুষের মনে ভয় ধরালেও অন্যান্য দেশের তুলনায় এই পরিসংখ্যান খুবই আশাপ্রদ। এঁদের বেশির ভাগই রয়েছেন কোয়ারান্টাইনে। ICMR প্রধান বলরাম ভার্গব NDTV-কে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সংক্রমণের এই ছবি বা পরিসংখ্যান গত মাসের। এই পরিসংখ্যানের বেশির ভাগটাই দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে। এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে কেন্দ্র করে যে সংক্রমণ ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে গত মাসে তারই হিসেব। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করে সংক্রামক ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে দেড় লক্ষ।

৩০ রাজ্যে পুরোপুরি লকডাউন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭০ পার

এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিমানবন্দরগুলিতে সংক্রামিত পর্যটকদের প্রায় ৪৬ শতাংশ তাপীয় স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়নি। ফলে, এই প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, "বিমানবন্দরগুলিতে অ্যাসিপটোমেটিক কেস শনাক্তকরণের জন্য দ্রুত-পরীক্ষার কিট পাওয়া যায়নি।"

এই মুহূর্তে, করোনা ভাইরাসের কবলে দেশে ৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৯টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭১ জন করোনা ভাইরাসের ঘটনা ঘটেছে, তারমধ্যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৭৫টি ঘটনা ঘটেছে। দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তারমধ্যে একজন পশ্চিমবঙ্গের এবং অপরটি হিমালচলের। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য থেকেই সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে, ফলে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশীয় উড়ান স্থগিত করা হয়েছে, পাশাপাশি লকডাউন ভঙ্গ করলে আনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। পঞ্জাবে কার্ফু জারি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে, সেখানেও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কলকাতায় সোমবার কলকাতায় বেসরকারি হাসপাতালে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর, তাঁর কোনও ভ্রমণের রেকর্ড নেই, ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

.