This Article is From Mar 13, 2020

৬ মাসের বেশি সময় ধরে আটক ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা

Jammu and Kashmir: ৩৭০ ধারা রদের সময় থেকেই ফারুক আবদুল্লাকে তাঁর ছেলে এবং অন্যান্যদের সঙ্গে আটক করে রাখা হয়, ফারুকের মুক্তির ঘোষণা হলেও বাকিরা তথৈবচ

৬ মাসের বেশি সময় ধরে আটক ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা

Farooq Abdullah's Detention: ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির সময় থেকেই বন্দি ছিলেন ফারুক আবদুল্লা

হাইলাইটস

  • ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করা হল
  • ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁকে জন নিরাপত্তা আইনে আটক রাখা হয়
  • তবে এখনও বন্দি ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ অন্য রাজনৈতিক নেতারা
নয়া দিল্লি:

৬ মাসের বেশি সময় ধরে আটক জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করা হল। তাঁকে (Farooq Abdullah) জননিরাপত্তা আইন বা পিএসএর অধীনে বন্দি রাখা হয়েছিল। জননিরাপত্তা আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তিকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটকে রাখা যায়। ৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah's Detention) পাশাপাশি গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে আটক করে রাখা হয়েছে তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ উপত্যকার আরও বহু নেতাকে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে সেখানকার বিশেষ মর্যাদা শেষের কথা যখন ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার তখনই নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে ওই রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখা হয়। সেই সময় গোটা ভূস্বর্গ জুড়ে জারি করা হয় প্রচুর নিষেধাজ্ঞাও।

কয়েকদিন আগে ৮ টি বিরোধী দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে একটি যৌথ বিবৃতি পাঠিয়ে কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের বিশেষত তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক ও ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের অধীনে, "গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি, মৌলিক অধিকার এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার উপরে আক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তার ফলস্বরূপ, ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সমালোচনার যে কোনও পথকেই বন্ধ করার জন্য সঙ্ঘবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে", বলা হয় ওই যৌথ বিবৃতিতে। 

প্রায় ১৫০ দিন গৃহবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্ত জম্মু-কাশ্মীরের ৫ রাজনীতিবিদ

জম্মু ও কাশ্মীরের ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে আটক রাখার ঘটনাতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত স্পষ্ট বলে বিরোধী নেতারা মতপ্রকাশ করেন সেই সময়। অত্যন্ত দুর্বল যুক্তি দেখিয়ে ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়, "জনজীবনের নিরাপত্তার প্রতি ওঁরা বিপদের কারণ হয়েছেন বা ওঁদের কাজকর্মের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে, মোদি সরকারের এই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবির কোনও ভিত্তি নেই। ওঁদের রাজনৈতিক জীবনের অতীত রেকর্ড দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়"।

‘‘মুসলিমদের জন্য কোনও দেশ নেই'': নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে মেহবুবা মুফতির কন্যা

ফারুক আবদুল্লাই প্রথম মূল স্রোতের রাজনীতিবিদ, যাঁর বিরুদ্ধে এই জনসুরক্ষা আইন কার্যকরা করা হয়। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ। এই আইন বিশেষেত জঙ্গি, বিচ্ছিন্নতাবাদী বা পাথর ছোঁড়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা হয়। সেই আইন ওই প্রবীণ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হওয়ায় প্রশ্ন ওঠে দেশের রাজনৈতিক মহলে।

এই আইনকে আগে বলা হত জম্মু ও কাশ্মীর সুরক্ষা আইন, যেটি এনেছিলেন ফারুক আবদুল্লার বাবা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা, পাচারকারীদের ধরতেই এই আইন এনেছিলেন তিনি।

.