This Article is From Jul 20, 2019

তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, একবারের রাজ্যপাল এবং সাংসদ শীলা দীক্ষিতের জীবনাবসান, তাঁর জীবনের অজানা কিছু কথা

Sheila Dikshit Death: দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অপ্রত্যাশিত জয়ের পর থেকেই রাজনৈতিক জগতের থেকে অনেকটাই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন শ্রীমতি দীক্ষিত

তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, একবারের রাজ্যপাল এবং সাংসদ শীলা দীক্ষিতের জীবনাবসান, তাঁর জীবনের অজানা কিছু কথা

Sheila Dikshit Death: শনিবার বিকেল ৩টে ৩০ নাগাদ প্রয়াত হন শীলা দীক্ষিত

হাইলাইটস

  • ৮১ বছর বয়সে মারা গেছেন শীলা দীক্ষিত
  • তিনি তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন
  • কেরলের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি
নিউ দিল্লি:

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের প্ৰবীণ নেতা শীলা দীক্ষিতের জীবনাবসানে (Sheila Dikshit Death) স্তব্ধ গোটা রাজনৈতিক মহল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না তাঁর দলের লোকরা, গভীর শোক প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুসারে শনিবার দুপুর ৩ টে ৫৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর (Sheila Dikshit Death), মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তাঁর মৃত্যুর (Sheila Dikshit Death) খবর কানে যেতেই বহু কংগ্রেস নেতা ও কর্মী পৌঁছে যান তাঁর বাসভবনে। গত কয়েক দিন ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না, হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আজ দুপুরে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।  

শীলা দীক্ষিতের রাজনৈতিক জীবন:

১৫ বছর ধরে রাজধানী দিল্লি শাসন করেছিলেন তিনি, এর আগে ১৯৮৪ সাল থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত কনৌজের (উত্তরপ্রদেশ) সাংসদ ছিলেন শীলা দীক্ষিত।সেই সময় একদিকে যেমন লোকসভা সমিতির কার্যভার সামলেছেন, অন্যদিকে তেমনি মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। রাজীব গান্ধি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতি দীক্ষিত। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ দীর্ঘ ১৫ বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন তিনি। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অপ্রত্যাশিত জয়ের পর থেকেই রাজনৈতিক জগতের থেকে অনেকটাই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন শ্রীমতি দীক্ষিত।  কিন্তু ২০১৯ -এর লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের অবস্থা খারাপ দেখে, তিনি আর মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি, এসে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধির পাশে, দিল্লির দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। সম্প্রতি শীলা দীক্ষিত ও পিসি চাকোর মধ্যে একটা মনোমালিন্যের খবর পাওয়া গেছিল। পিসি চাকো জানিয়েছিলেন যে শীলা দীক্ষিত অসুস্থ।  

শীলা দীক্ষিতের ব্যক্তিগত জীবন:

১৯৩৮ সালের ৩১ শে মার্চ পাঞ্জাবের কাপূরথালায় জন্মগ্রহণ করেন শীলা দীক্ষিত। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরান্ডা হাউস থেকে ইতিহাসে এম.এ. করেছিলেন। আইএএস অফিসার স্বর্গীয় বিনোদ দীক্ষিতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বিনোদ ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা, সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বর্গীয় উমাশঙ্কর দীক্ষিতের পুত্র ছিলেন তিনি। শীলা দীক্ষিতের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। তাঁর ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত দিল্লির সাংসদ ছিলেন। এম.এ. পড়ার সময় থেকেই রাজনীতিতে আগ্রহ জন্মেছিল তাঁর।  

দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী: 

নিজের কাজের জন্যই কংগ্রেসের এক শক্তিশালী নেতায় পরিণত হয়েছিলেন শীলা দীক্ষিত। সনিয়া গান্ধির নজরেও নিজের জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি, যার ফলে রাজীবের মৃত্যুর পরেও তাঁর সঙ্গ সনিয়ার একটা সুন্দর সম্পর্ক বজায় ছিল। ১৯৯৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হন শীলা দীক্ষিত। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের হয়ে পূর্ব দিল্লি থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। তারপর থেকে তিনি আর লোকসভার দিকে তাকান নি, দিল্লির আসনের দিকেই নজর দেন তিনি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তিনি যে শুধু জিতেছিলেন তাই নয়, সেই সাথে তিন তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত।   
    
 

.