This Article is From Mar 17, 2020

"শপথের পর কথা বলবো": রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হওয়া প্রসঙ্গে বললেন রঞ্জন গগৈ

Rajya Sabha: সোমবার নজিরবিহীনভাবে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

Rajya Sabha: সোমবার রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি

হাইলাইটস

  • রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
  • এ বিষয়ে এখনই কোনও কথা বলতে নারাজ দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি
  • শপথ নেওয়ার পরে এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলবেন গগৈ
গুয়াহাটি:

সোমবার নজিরবিহীনভাবে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ হিসাবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind)। তাঁকে মনোনীত করার বিষয়ে রঞ্জন গগৈকে প্রশ্ন করা হলে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি (Ranjan Gogoi) বলেন, শপথ গ্রহণের পরে তিনি মনোনয়ন গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন, তার আগে নয়। মঙ্গলবার অসমের গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রঞ্জন গগৈ বলেন, "আমি সম্ভবত আগামীকাল (বুধবার) দিল্লি যাব। প্রথমে সেখানে গিয়ে শপথ গ্রহণ করি, তারপরে আমি সংবাদমাধ্যমের কাছে কেন আমি এই মনোনয়নে সম্মতি দিয়েছি তা নিয়েও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব ..." । বিচারপতি গগৈ প্রায় ১৩ মাস সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের নভেম্বর মাসে অবসর গ্রহণ করেন।

রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ

এর আগে দেশের কোনও প্রধান বিচারপতিকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে মনোনীত করা হয়নি, কেননা এতদিন দেখা গেছে সাধারণত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই রাজ্যের কোনও খ্যাতনামা ব্যক্তি এবং শিল্পীদের রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে মনোনীত করেন। এবং বিচার বিভাগের কয়েকজন সদস্য আইনসভার ফাঁকে পেরিয়ে গেছেন।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, দেশের আরও এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, রঙ্গনাথ মিশ্র কংগ্রেসে যোগ দিয়ে সাংসদ হন। ১৯৯৮ সালে রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে মনোনীত করা হয় তাঁকে এবং ২০০৪ সাল পর্যন্ত সাংসদ থাকেন তিনি। ওদিকে আবার কেরলের রাজ্যপাল হিসেবে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমকে নিয়োগ করে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে সিপিআইএম-কংগ্রেসের সর্বসম্মত সম্ভাব্য প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য

আবার দেখা যায়, প্রাক্তন বিচারপতি বাহারুল ইসলাম গৌহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হওয়ার আগে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ১৯৮০ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। পরে তিনি বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং ফের রাজ্যসভার সদস্য হন।

বিচারপতি হিসাবে দেশের বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক মামলার সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেছে রঞ্জন গগৈয়ের। তাঁর আমলেই অযোধ্যার রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ জমি সমস্যা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রাম মন্দিরের জন্যে বরাদ্দ করেছিল এবং অযোধ্যার কোনও একটি বিকল্প স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্যে ৫ একর জমি দেওয়ার বিধান দেয়।

পাশাপাশি রাফাল জেট অধিগ্রহণ সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অংশও ছিলেন গগৈ, তিনি বলেন যে ৩৬ টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।

.