This Article is From May 15, 2019

রণক্ষেত্র কলেজস্ট্রিট! বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা, মমতা-বিজেপি বাকযুদ্ধ তুঙ্গে: ১০টি তথ্য

Elections 2019: পুরো বিষয়টিকে “গণতন্ত্র রোধ” করার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাইরে থেকে গুণ্ডা এনে অশান্তি পাকিয়েছে বিজেপি।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে অশান্তির সূত্রপাত হয়।

নিউ দিল্লি: মঙ্গলবার অভাবনীয় হিংসার মুখ দেখল কলকাতা। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শোয়ের পর কলেজস্ট্রিটে ভয়ানক নির্বাচনী হিংসা, অগ্নিসংযোগ এবং কলেজে ঢুকে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তির ভেঙে ফেলল দুষ্কৃতীরা। নির্বাচন কমিশন আজ পশ্চিমবঙ্গে ১১.৩০ টায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল ও বিজেপি মূর্তি ধ্বংস করা নিয়ে একে অপরকে অভিযুক্ত করেই চলেছে। বাংলায় নবগরণের সবচেয়ে উদ্দীপক প্রতীকগুলির মধ্যে অন্যতম ঈশ্বরচন্দ্রের মঊর্তি ভাঙা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও ব্যাপক ক্ষোভ জন্মেছে। বিজেপি এই লড়াইকে দিল্লি অব্দি টেনে নিয়ে গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচীর পরিকল্পনাও নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত ঘটনাকে বড় লজ্জা বলেই মনে করছেন, আজ শহরে হাঁটবেন তিনিও। জানিয়েছেন, এর জবাব পাবেই বিজেপি।

এখানে দেখে নিন ঠিক কী কী হয়েছে গতকাল, ১০ টি পয়েন্ট:

  1. অমিত শাহ বলেন, তৃণমূল গণতন্ত্রকে বিচলিত করার চেষ্টা করেছে। তাঁর ‘প্রজাতন্ত্র রক্ষা' মিছিলের মতো সমাবেশ কলকাতা আগে কখনও দেখেনি এমনই এক দর্শনীয় অনুষ্ঠান ছিল যাতে রাম এবং হনুমানের সাজে সেজে মানুষ ‘জয় শ্রী রাম' স্লোগান তুলে ১০,০০০ কেজি গাঁদা ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে, গেরুয়া বেলুন উড়িয়ে এক উন্মাদনার জন্ম দেয়।

    2.জাতীয় নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার নিষিদ্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে বিজেপি। ১৯ মে এই রাজ্যের শেষ দফার ভোটে ৯ টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বিজেপি দিল্লিতেও প্রতিবাদ জানাবে এবং অমিত শাহ গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলবেন।

    3.কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যাসাগর কলেজের পাশে কলেজ স্ট্রিটে অমিত শাহের রোড শো যে পথে গিয়েছে গত সন্ধ্যায়, মমতা আজ একই পথে যাত্রা করবেন।

    4. মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজায় এই হিংসা শুরু হয়। ক্যাম্পাসের মধ্যের কিছু শিক্ষার্থী বিজেপি বিরোধী স্লোগান দেয়, এবং বিজেপি সমর্থকরা রড উঁচিয়ে তাড়া করে তাঁদের। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।

    5.বিদ্যাসাগর কলেজ পেরনোর সময় অমিত শাহের ভ্যানের কাছে ‘গো ব্যাক অমিত শাহ' লেখা পোস্টার দেখাতেই ছাত্রদের উপর চড়াও হয় বিজেপি সমর্থকরা। তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করে।

    6.পুলিশ প্রথমে ভিড়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় করে। পরে, হিংসা ছড়ানোর জন্য বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অনেকেই আহত হন এই তাণ্ডবে।

    7.মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অমিত শাহ নিজেকে কী ভাবছেন? তিনি কি সবকিছুর উপরে? তিনি কি ভগবান যে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যাবে না? অমিত শাহের গুণ্ডারা রড ব্যবহার করেছে এবং আগুন জ্বালিয়েছে, মূর্তি ভেঙ্গে দিয়েছে। এত বড় লজ্জা, এমন কলকাতায় কখনও হয়নি। আমরা তাদের ছেড়ে দেব না এবং ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব।"

    8.তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করেছেন: “বাংলার বাইরে থেকে আনা বিজেপি গুণ্ডারা কলেজের ভেতরে অবস্থিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। অমিত শাহের উপস্থিতিতেই বিজেপির ভাড়া করা গুণ্ডারা তাণ্ডব চালায়। বাংলার সম্পর্কে, আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস, বাংলার সংস্কৃতি বিষয়ে আপনি কতটুকু জানেন। আজকে যা করেছেন তার জন্য বাংলা কখনো ক্ষমা করবে না।"

    9.ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এই হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে বলেই অমিত শাহ অভিযোগ করেন, তাঁর দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৬০ জন বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছেন এবং মঙ্গলবার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টাতেই হিংসা চড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, “মমতা দিদির গুন্ডারা এই ভিড় দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিল এবং ওই রোড শোয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছিল। আমি বাংলার জনগণের কাছে বলছি তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করুন।”
    10. বাংলার ৪২ টি আসন দখলের লড়াই যতই তিক্ত হচ্ছে রাজ্যে ততই বাড়ছে হিংসা, ফলে রাজ্যের প্রতিটি দফার ভোটের বিশৃঙ্খলা ও হিংসা দেখা দিয়েছে। আজও, প্রধানমন্ত্রী মোদি বসিরহাট ও ডায়মন্ড হারবারের সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।



Post a comment
.