This Article is From Jun 17, 2019

চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তায় নয়া প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

আগে সরকার পক্ষের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা, রবিবার তাঁরা আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তায় নয়া প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

নবান্নে চিকিৎসক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কলকাতা:

রোগীদের আত্মীয়দের হাতে চিকিৎসকদের নিগ্রহে রাশ টানতে, ধর্মঘটে সামিল হওয়া চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে ১০টি প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের ২৪জন প্রতিনিদির সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তারমধ্যে একটি হল চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে কথাবার্তার জন্য ইন্টারফেস তৈরি করা। পাশাপাশ হাসপাতালে রোগীদের আসা যাওয়া নজরে রাখতে প্রত্যেকটি হাসপাতালে একজন করে সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক মোতায়েন করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এনআরএস হাসাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মৃতের পরিবারের হাতে নিগৃহীত হন এক জুনিয়র চিকিৎসক। তারপরেই প্রতিবাদে সামিল হন চিকিৎসকরা। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে।

ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং-ও।বিষটটি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আগে সরকারপক্ষের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা, রবিবার তাঁরা আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।সোমবার বৈঠকে চিকিৎসকরা বলেন, “আমরা এখানে এসেছি, কারণ আমরা নিষ্পত্তি চাই...আমাদের বিশ্বাস আপনার সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।যদি সম্ভব হয়, তাহলে অপ্রত্যাশিত যে ঘটনা ঘটেছে, তার ব্যবস্থা নিন”।মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের “অভিভাবক” বলেও মন্তব্য করেন চিকিৎসকরা।

নিরাপত্তা নিয়ে ১০টি প্রস্তাব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জরুরি বিভাগে একসঙ্গে দুজনের বেশী মানুষ যাতে একসঙ্গে জরুরি বিভাগে ঢুকতে না পারে, তা সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করব আমরা...রোগীর স্বাস্থ্য বা তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হবে উপযুক্ত পদ্ধতিতে, এবং বিনম্রভাবে”।তাঁর কথায়, “সমস্ত হাসপাতালে নোডাল অফিসার হিসাবে একজন করে পুলিশ আধিকারিক মোতায়েন করা হবে”।

বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের, চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের বিস্তারিত জেনে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি ছিল প্রতিবাদে সামিল হওয়া চিকিৎসকদের অন্যতম দাবি। 

বৈঠকে উপস্থিত কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বলেন, “আমরা হাসপাতালগুলিতে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছিলাম, তবে এখন হাসপাতালে রোগীদের প্রবেশও নজরে রাখতে হবে, যাতে আমরা এই ধরণের ঘটনা এড়াতে পারি”।

.