This Article is From Jan 17, 2020

Nirbhaya Case: সাজাপ্রাপ্তের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি

Mercy Petition: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তার এবং বিনয়ের দায়ের করা কিউরিটিভ পিটিশন খারিজ করার পরে মুকেশ কুমার সিং রাষ্ট্রপতির কাছে করুণার আবেদন করে

Nirbhaya Case: সাজাপ্রাপ্তের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি

Delhi Nirbhaya Case: নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার ৪ জনকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত

হাইলাইটস

  • রাষ্ট্রপতির কাছে নির্ভয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন
  • সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংয়ের আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
  • এর আগে ট্রায়াল কোর্ট নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে
নয়া দিল্লি:

নির্ভয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নির্ভয়া কাণ্ডে (Nirbhaya case) দোষী সাব্যস্ত ৪ আসামিকে আগামী সপ্তাহে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে অন্যতম দোষী মুকেশ কুমার সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন দেশের রাষ্ট্রপতির (President) কাছে পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তার এবং বিনয়ের দায়ের করা কিউরিটিভ পিটিশন খারিজ করার পরে মুকেশ কুমার সিং (Mukesh Kumar) রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে করুণার আবেদন (Mercy Petition) করে। বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার সিং, অক্ষয় কুমার সিং এবং পবন গুপ্তাকে আগামী বুধবার সকাল সাতটায় তিহার জেলে ফাঁসি দেওয়া হবে, এর আগে ট্রায়াল কোর্টের বিচারক এই বিধান দেন। দিল্লির এক প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার সাত বছর পরে তাদের মৃত্যুর পরোয়ায় স্বাক্ষর করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে একটি চলন্ত বাসে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়, পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্ভয়ার।

বৃহস্পতিবার নির্ধারিত মৃত্যুদণ্ডের দিনের ঠিক পাঁচ দিন আগে, তিহার জেলের আধিকারিকরা ফাঁসির জন্যে নতুন তারিখের আবেদন করে বলেছিলেন, দোষীদের দায়ের করা প্রাণভিক্ষার আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না।

Nirbhaya case: রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি অন্যতম ধর্ষক মুকেশ সিংহর

ইতিমধ্যেই যদিও দোষী ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আরও দেরি হওয়ার আশঙ্কায় নির্ভয়ার মা আবেদন করেন যে,এমনিতেই তিনি বহু বছর ধরে এই ঘটনায় সাজার আশায় বহু আদালতে ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিন্তু এবার তিনি আর দেরি করতে চান না, এখনই ন্যায়বিচার চান তিনি । নির্ভয়ার মা বলেন যদি দোষীদের অধিকার থাকে তবে সাত বছর আগে নৃশংস অত্যাচার করে মেরে ফেলা মেয়ের হয়ে বিচারের অধিকার তাঁদেরও রয়েছে।

 সরকার ও তিহার জেল কর্তৃপক্ষের ‘‘গাফিলতির'' কারণে তাঁকে কেন ভুগতে হবে বলে এ প্রশ্নও তোলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী । দিল্লি সরকার হাইকোর্টকে জানিয়েছে ২২ জানুয়ারি নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হবে না। কেননা প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে এক অপরাধী। এই পরিস্থিতিতে আশা দেবী জানাচ্ছেন, ‘‘ফাঁসির দিন পরিবর্তন করা উচিত নয়। দোষীদের জন্য অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। কিন্তু আমার মতো কেউ, যে একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর সাক্ষী হওয়ার পরেও গত কয়েক বছর ধরে আদালতে চক্কর কাটছে — তার জন্য কোনও অবকাশ নেই। কেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের ‘‘গাফিলতির'' কারণে আমাকে ভুগতে হবে?''

নির্ভয়া মামলা কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। ওই তরুণীর উপরে হওয়া নির্মমতায় শিহরিত হয়েছিলেন সকলে। এর ফলে এই সংক্রান্ত আইনেও কিছু পরিবর্তনও করা হয়। পাশাপাশি নাবালকদের ক্ষেত্রেও আইনের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলানো হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের সাবালকদের মতো করে বিচার করার কথা ভাবা হয়।

 ‘‘কেন আমাকে ভুগতে হবে'': জেলের তরফে ফাঁসির নতুন তারিখ চাওয়ার পর নির্ভয়ার মা

গত ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণী তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ দিল্লিতে। ফেরার পথে তাঁরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। এই সময় একটি ফাঁকা বেসরকারি বাসে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়। বাসে ছিল ছ'জন ব্যক্তি। এরপর তারা ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে। তারপর রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয়। তাঁর সঙ্গীও আহত হন। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমানুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে। 

.