শনিবারই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় উদ্ধারকার্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়
কলকাতা: সাইক্লোন আমফানের (Cyclone Amphan) পাঁচদিন পরেও কলকাতার (Kolkata) বেশ কিছু এলাকায় স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি, ফেরেনি পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা। সেই সমস্ত এলাকায় দ্রুত পরিষেবা ফেরানোর দাবিতে সোমবারও বিক্ষোভে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন উপড়়ে পড়া গাছের ডাল দিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কলকাতার বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা,পাশাপাশি ওই সমস্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাফেরা আটকাতে ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে, শহরের মূল রাস্তায় রাজ্য বিপর্যয় উদ্ধারকারী দলের কর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পড়ে থাকা গাছের গুঁড়ি, বা ডালপালা সরিয়ে অনেকটাই পরিষ্কার করে ফেলেছে সেনাবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এদিন দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরানোর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়, অন্যদিকে, জলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ করেন বেহালার বাসিন্দারা।
জল, বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত শহরে
গড়ফার এক বাসিন্দা বলেন, “গত পাঁচদিন আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। আমাদের মোবাইল ফোনগুলি সুইচড অফ এবং আমরা কোনও খবর পাচ্ছি না”।
২০ মে রাজ্যে আছড়ে পড়়ে সাইক্লোন আমফান, মৃত্যু হয় ৮৬ জনের।
রাজ্য সরকারের তরফে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই শনিবারই কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় উদ্ধারকার্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সোমবার সল্টলেকের বাড়ির সামনের রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ পরিষ্কার করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। রাস্তা আটকে রাখা গাছের গুঁড়ি কাটতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষ ও তাঁর নিরাপত্তাকর্মীদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যে সাইক্লোন আমফান আসার পাঁচদিন পরেও রাস্তা অবরুদ্ধ। এলাকার মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। সেই জন্য আমি এবং কয়েকজনকে মিলে নিজেরাই রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিই”।
সল্টলেকের বাড়ির সামনের রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ পরিষ্কার করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে
রাজ্য সরকারের তরফে, দুটি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা পশ্চিমমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং কলকাতা বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাকে, সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পরিষেবা ফেরানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বলে।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সাইক্লোন আমফানের কারণে বিদুৎ এর তার, ট্রান্সফর্মার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ, প্রভাব পড়ে পানীয় জল সরবরাহেও।
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকায় এখনও ফেরেনি ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা।
শুক্রবার, সাইক্লোম আমফানকে জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় বলে মন্তব্য করেন, এ রাজ্যের সাইক্লোনে ১ লক্ষ কোটির বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ রাজ্যে ৬ কোটির বেশি মানুষ আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
(ANI তথ্য সংযোজিত হয়েছে)
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)