বৃস্পতিবার টিটাগড়ে একই দাবিতে বিক্ষোভে ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন স্থানীয়রা
কলকাতা: সাইক্লোন আমফানে (Cyclone Amphan) ধ্বংসলীলায় বহু এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছ, বিদ্যুৎ এর খুঁটি, ফলে বিভিন্ন জায়গায় এখনও বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ। ফলে এদিনও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জল সরবরাহ শুরু করা ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দা। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু জায়গায় পরিষেবা ফেরানো হয়েছে। বেশি করে ক্ষতির মুখে পড়েছে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকা, আমফানের চারদিন পরেও রবিবার দিনভর পানীয় জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। দুপুর ১টা নাগাদ ঠাকরপুর সংলগ্ন কদমতলা এলাকায় ডায়মন্ডহারবার রোডে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়, এছাড়াও বেহালা, পর্ণশ্রীতেও বিক্ষোভ হয়।
অবিলম্বে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানোর দাবিতে এদিন বিক্ষোভ হয় দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ, নেতাজিনগর এলাকায়। এছাড়াও নিউ আলিপুরের চণ্ডীতলা এলাকাতেও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। নেতাজিনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সাহায্য না পেয়ে নিজেরাই গাছ কাটার যন্ত্র ভাড়া করেছেন তাঁরা।
আমফান-দুর্গত বাংলায় জল, বিদ্যুতের মতো পরিষেবা ফেরাতে রাজ্য সরকারের আহ্বানে সেনা পাঠাল কেন্দ্র
বেহালার রায় বাহাদুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, চড়া দামে বেশি টাকা দিয়ে পানীয় জল কিনতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। কদমতলা এলাকায় বিক্ষোভে সামিল এক মধ্য বয়স্কা মহিলা বলেন, “গত চারদিন ধরে আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এর ফলে, আমরা মেন লাইন থেকে ট্যাঙ্কে জল ভরতে পারিনি, এভাবে কি থাকা যায়? আমার বাড়িতে শিশু ও বয়স্করা রয়েছে, তাঁরাও ভুগছেন”।
দক্ষিণের পাশাপাশি আগরপাড়া, বেলঘরিয়ার মতো উত্তরেও বিক্ষোভ হয়।
একাধিক টুইটে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর উল্লেখ করেছে, সিইএসসি জানিয়েছে যে, ইএম বাইপাস সংলগ্ন লস্করপাড়া, পাতিপুকুর, বেলগাছিয়া এবং মানিকতলা মেড রোডে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানো গিয়েছে।
রবিবার সকালের দিকে ব্যারাকপুরের চক কাঠালিয়া এলাকার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতেও একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়
লর্ডস মোড়, হরিরপদ দত্ত লেন এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বক্তিয়ার শাহ রোডেও বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানো গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরের ট্যুইটে।
এছাড়াও, যাদবপুরের বেশিরভাগ এলাকা, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক, পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট. এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণি, রাসবিহারী কানেক্টর, কসবার বিবি চ্যাটার্জি রোড এবং শিলপাড়াতেও বিদ্যুৎ পরিষেবা ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর সাইক্লোন সমীক্ষায় ধরা পড়ল সামাজিক দূরত্ব বিধি
উত্তর কলকাতার লেকডাউন, যশোর রোড, নাগেরবাজারে বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, “বেশিরভাগ জল ও নিকাশি পাম্পগুলির ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে”।
সিইএসসির মুখপাত্র জানিয়েছেন, আশা করা যায়, মঙ্গলবারের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল হয়ে যাবে এবং পুরো দমে কাজ চলছে। তিনি বলেন, “লকডাউনের কারণে, কর্মী কম থাকায় আমাদেরও হাত পা বাঁধা, তবুও আমরা স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে কর্মী বাড়ানোর চেষ্টা করছি”।
পাম্পিং স্টেশনগুলিতে জেনারেটর লাগিয়েছে সিইএসসি এবং ক্ষতিগ্রস্ত কিছু আবাসনেও তা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জল এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে প্রশসন বলে জানিয়ে সাধারণ মানুষকে ধৈর্য রাখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
(ANI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে)
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)