This Article is From Apr 22, 2020

অমিত শাহের থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা

Coronavirus: করোনার সংক্রমণ রুখতে ও রোগীদের সুস্থ করতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা, কিন্তু বারবার হামলার শিকার হচ্ছেন তাঁরা

অমিত শাহের থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ প্রত্যাহার করলেন চিকিৎসকরা

COVID-19: অমিত শাহ এবং ডঃ হর্ষবর্ধন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন

হাইলাইটস

  • দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন সরকার
  • চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস অমিত শাহের
  • স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে আইএমএ-র সঙ্গে বৈঠক তাঁর
নয়া দিল্লি:

খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যে গোটা দেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দানের দায়িত্ব নেবে সরকার। আর অমিত শাহের মুখ থেকে এই আশ্বাস বাণী পেয়েই শেষপর্যন্ত প্রতীকী প্রতিবাদ প্রত্যাহার করে নিলেন চিকিৎসকরা। বুধবার দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতির মধ্য়েই ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Medical Association IMA) চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে তাঁর (Amit Shah) সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনও। ভারতে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁই-ছুঁই, প্রতিদিনই আরও বহু মানুষের শরীরকে কব্জা করছে COVID- 19। সংকটের এই পরিস্থিতিতে দেশের চিকিৎসকরা যেন তাঁদের নির্ধারিত প্রতীকী প্রতিবাদ না করেন, ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ এই অনুরোধও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

করোনার সঙ্গে যুঝে বহু মানুষকে সুস্থ করছেন যাঁরা সেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরেই বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রতিবাদে দেশ জুড়ে  'হোয়াইট অ্যালার্ট' 'শ্বেত সতর্কতা'-র আহ্বান জানিয়ে বুধবার সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতীকী প্রতিবাদ দেখানোর ডাক দেন চিকিৎসকদের ওই সংগঠন। এই ধরনের হামলার প্রতিবাদে আইএমএ সমস্ত চিকিৎসক এবং হাসপাতালগুলির উদ্দেশে বার্তা দেয়, "সাদা রঙের একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে এই হোয়াইট অ্যালার্ট দিন যাতে সতর্ক হয় সবাই"।

করোনা সংক্রমণ রুখতে সিল করে দেওয়া হল দিল্লি-নয়ডা সীমান্ত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অমিত শাহ জানান যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশেই আছে সরকার। তাঁদের সুরক্ষার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে বলেও আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য যেমন মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং বেঙ্গালুরুতে COVID-19 এর সংক্রমণ রুখতে যেসব স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশরা পথে নেমেছেন তাঁদের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

লকডাউনে আটকে পড়া প্রবাসী শ্রমিকদের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ ট্রেন চালানোর আবেদন উদ্ধব ঠাকরের

দেশের চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে এই ক্রমবর্ধমান হিংসার ঘটনার জেরে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন তাঁদের সুরক্ষার জন্যে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে একটি আইন করার দাবি জানায়। তাঁরা এই হুঁশিয়ারিও দেয় যে সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না করা হলে তাঁরা "কালা দিবস" পালন করবে।  ২৩ এপ্রিল সারা দেশে চিকিৎসকরা কালো ব্যাজ পড়ে কাজ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেয় চিকিৎসকদের ওই সংগঠনটি।

এদিকে দেশে জারি করা লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী রাজ্যগুলিতে মানা হচ্ছে কিনা এবং চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা এড়াতে তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকারগুলি তা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যে ৬টি আন্তঃমন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় টিম গঠন করেছে মোদি সরকার।

.