This Article is From Jun 09, 2020

৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে ৫.৫ লক্ষ কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা: আপ সরকার

দিল্লি সরকারের অনুমান, ১৫ জুনের মধ্যে ৪৪,০০০, ৩০ জুনের মধ্যে এক লক্ষ এবং ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ২.২৫ লক্ষ সংক্রমণ হবে।

COVID-19: দিল্লিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতি ১২-১৩ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছে

হাইলাইটস

  • ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে ৫.৫ লক্ষ করোনাভাইরাস সংক্রমণ হবে
  • দিল্লিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতি ১২-১৩ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছে
  • হাসপাতালের শয্যার বিশাল চাহিদার আশঙ্কা করছেন মণীশ সিসোদিয়া
নয়াদিল্লি:

সংক্রমণের বর্তমান দ্বিগুণ হারের ভিত্তিতে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে ৫.৫ লক্ষ করোনাভাইরাস সংক্রমণ হবে, মঙ্গলবার জানান দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। গতকালই দিল্লি সরকারের শহরের বাসিন্দাদের জন্য শয্যা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন উপ-রাজ্যপাল। আগামীতে হাসপাতালের শয্যার বিশাল চাহিদার আশঙ্কা করছেন মণীশ সিসোদিয়া। মণীশ সিসোদিয়া আজ উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজাল এবং ঊর্ধ্বতন কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে জানান, দিল্লিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতি ১২-১৩ দিন অন্তর দ্বিগুণ হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিল্লিতে ৫.৫ লক্ষ কোভিড-১৯ সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন আমাদের ৮০,০০০ শয্যা লাগবে।" দিল্লি সরকারের অনুমান, ১৫ জুনের মধ্যে ৪৪,০০০, ৩০ জুনের মধ্যে এক লক্ষ এবং ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ২.২৫ লক্ষ সংক্রমণ হবে।

মণীশ সিসোদিয়া জানান যে, তিনি উপ-রাজ্যপালকে শহরের বাসিন্দাদের জন্য কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত হাসপাতালগুলি বাদ দিয়ে অন্য হাসপাতালগুলির শয্যা সংরক্ষণ নিয়ে দিল্লি সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খারিজ করার বিষয়ে তাঁর পদক্ষেপের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। অনিল বৈজাল তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে অস্বীকার করেছিলেন এবং বৈঠকে তা গৃহীত হয়নি বলেও তিনি জানান।

আসন্ন সপ্তাহগুলিতে দিল্লিতে চরম হারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে এমন আশঙ্কা করে মণীশ সিসোদিয়া জানান যে দিল্লির সমস্ত হাসপাতালের শয্যার ৫০ শতাংশই সাধারণত বাইরে থেকে চিকিত্সার জন্য আসা ব্যক্তিদের দখলে ছিল।

“এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে জুলাইয়ের শেষে ৮০,০০০ শয্যা লাগবে- তাও কেবল দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য, বাইরের লোকদের জন্য নয়...এগুলো কোথা থেকে আসবে? এ নিয়ে কী করা হচ্ছে,” প্রশ্ন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, “আমরা আজকের বৈঠকে এই পরিস্থিতিটি তুলে ধরেছি তবে কিছুই আলোচনা হয়নি। আমরা একটা জিনিস বুঝতে পারছি, বেড পাওয়া যাবে তবে তার একমাত্র উপায় হ'ল যদি অন্যান্য সমস্ত পরিকল্পিত চিকিত্সা পদ্ধতিগুলি পিছয়ে দেওয়া যায় বা স্থগিত রাখা যায় এবং কেবল কোভিড-১৯-কেই লক্ষ্য রাখা হয়... আমরা এখনও ভাবছি কী করা দরকার।”

মণীশ সিসোদিয়া সাংবাদিকদের আরও বলেন যে কেন্দ্রীয় কর্মকর্তাদের মতে, দিল্লি সম্প্রদায় সংক্রমণের পর্যায়ে ছিল না। শহরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, দিল্লিতে অর্ধেক ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার কোনও উৎসই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হিসাবে দেখা যেতে পারে কিনা জানতে চাওয়া হলেলে সত্যেন্দ্র জৈন বলেছিলেন: “কেন্দ্র এটা ঘোষণা না করলে নয়।"

.