This Article is From Jul 03, 2019

কংগ্রেসের সভাপতি হতে পারেন সুশীল কুমার শিন্ডে বা মল্লিকার্জুন খাড়গে

পিভি নরসিমা রাও এবং সীতারাম কেশরীর পর এই নিয়ে তৃতীয়বার নেহেরু-গান্ধি পরিবারের বাইরের কেউ কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেবেন

মল্লিকার্জুন খাড়গে গত লোকসভা নির্বাচনে এই প্রথম হারের মুখ দেখেন

নয়া দিল্লি:

রাহুল গান্ধির(Rahul Gandhi) কংগ্রেস সভাপতি(Congress President) পদ ছেড়ে দেওয়ার পর সুশীল কুমার শিন্ডে (Sushil Kumar Shinde)  বা মল্লিকার্জুন খাড়গের  (Mallikarjun Kharge) মধ্যে থেকেই কোনও  একজনকে দলের নতুন সভাপতি পদে বসানোর ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের(Congress) হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা খোলা চিঠিতে জানান রাহুল গান্ধি। এরপরেই দলের পরবর্তী প্রধান (New Chief) হিসাবে ওই দুই অভিজ্ঞ কংগ্রেস নেতার নাম আলোচনায় উঠে আসে। শেষ পর্যন্ত এই দুই নেতার মধ্যে কেউ কংগ্রেসের প্রধান হলে পিভি নরসিমা রাও এবং সীতারাম কেশরীর পর এই নিয়ে তৃতীয়বার নেহেরু-গান্ধি পরিবারের বাইরের কেউ কংগ্রেসকে(Congress)  নেতৃত্ব দেবেন। সূত্র মারফৎ খবর, তবে শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের দায়িত্বভার কাকে সঁপা হবে সে বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন গান্ধি পরিবারের ৩ সদস্য- রাহুল গান্ধি, তাঁর মা তথা দলের প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি ও জানুয়ারিতে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া প্রিয়ঙ্কা গান্ধি।

সিদ্ধান্তে অনড় রাহুল গান্ধি, এক সপ্তাহেই প্রকাশ্যে আসবে নতুন কংগ্রেস সভাপতির নাম

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৭৭ বছরের সুশীল শিন্ডেই (Sushil Kumar Shinde)  কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২০০২ সালে তাঁকে সহ সভাপতি পদেও মনোনীত করেছিল দল।   এর পাশাপাশি, চলতি বছরের শেষেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে যেখানে সুশীল শিন্ডেই(Sushil Kumar Shinde)   হলেন দলের অন্যতম দলিত প্রতিনিধি। পাশাপাশি গান্ধি পরিবারেরও যথেষ্ট আস্থা রয়েছে তাঁর উপর। অন্যদিকে মল্লিকার্জুন খাড়গে( Mallikarjun Kharge),গত লোকসভায় যিনি কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাঁকে অনেক সময়ই দেখা গেছে সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মুখ হয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করতে। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে ৭৬ বছরের খাড়গে কংগ্রেসের(Congress)  প্রার্থী হয়ে প্রথম হারের মুখ দেখেছেন। তবে  কংগ্রেস সরকারে একাধিক বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল গান্ধির বহাল থাকার “১ শতাংশও সম্ভাবনা নেই”, বললেন বীরাপ্পা মইলি

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের খারাপ ফলের দায় নিয়ে দলের সভাপতি পদে রাহুল গান্ধি ইস্তফা দেওয়ার পরেই দলের নতুন সভাপতির(New President) সন্ধান করা শুরু হয়ে যায়। দলীয় সূত্রে এনডি়টিভিকে জানানো হয় যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে।

বুধবার এক খোলা চিঠিতে রাহুল গান্ধি লেখেন, “কংগ্রেসের সভাপতি(Congress President)  হিসাবে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের জন্যে দায়ী আমি। আমাদের দলের ভবিষ্যতের অগ্রগতির জন্যে দায় নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই আমি কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম”।

রাহুল গান্ধি আরও বলেন যে, ভবিষ্যতে দলের স্বার্থে আরও অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং “২০১৯-এর ব্যর্থতার দায় আরও অনেককেই নিতে হবে”।কিন্তু অন্যদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই বলেও জানান রাহুল। তিনি জানান দলের নতুন সভাপতি (New President) নির্বাচন করার ব্যাপারে তিনি কয়েকজন দায়িত্ব দিয়েছেন।

রাহুল গান্ধির সমর্থনে কয়েকজন কংগ্রেস নেতার পদত্যাগ

রাহুল গান্ধি আরও বলেন যে, “আমার বেশিরভাগ সহকর্মীরাই আমাকে নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।কিন্তু এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার থাকাটা ঠিক হবে না বলেই মনে করি আমি”।

.