রাহুল গান্ধির পদত্যাগের পরেই কংগ্রেসে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে
নয়া দিল্লি: গত লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের (Congress) শোচনীয় ফলের পর বর্তমানে অনেকগুলি রাজ্যেই দলটির সাংগঠনিক পরিস্থিতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। দেশের সুপ্রাচীন এই দলটির টালমাটাল অবস্থায় দলের হাল শক্ত হাতে ধরার অনুরোধ নিয়ে এবার সনিয়া গান্ধির (Sonia Gandhi) দ্বারস্থ হলেন অনেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতাই। তাঁদের অনুরোধ দলের এই খারাপ সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে পরিস্থিতি সামাল দিন সনিয়া। যতদূর জানা গেছে, দলের প্রবীণ নেতাদের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। এর আগে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সার্বিক হতাশাজনক ফলের নৈতিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদ (Congress President) থেকে ইস্তফা দেন সনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে তিনি কতটা ইচ্ছুক এ ব্যাপারে সনিয়া গান্ধিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মতদানে বিরত থাকেন।
রাহুল গান্ধি বনাম রাজনাথ সিং, কৃষক মৃত্যু নিয়ে সরগরম সংসদ
তবে জানা গেছে,স্বাস্থ্যজনিত কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অনেকটাই নিজেকে সরিয়ে নেওয়া ৭২ বছরের সনিয়া(Sonia Gandhi) তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি বলেছেন বর্তমানে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, যদিও সেটা পারলে তিনি এটাকে চ্যালেঞ্জ আকারে দেখতেন।
রাহুল গান্ধির কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর দলের অনেক প্রবীণ নেতাই এ ব্যাপারে সনিয়া গান্ধিকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন
রাহুল গান্ধি দলের প্রধানের (Congress chief )পদ ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যেও ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে হাতের দল।গত সপ্তাহে কর্নাটকে একের পর এক কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফার হিড়িক চলাকালীন অন্তত একজন ইস্তফা দেওয়া থেকে আটকাতে পেরেছেন সনিয়া গান্ধি(Sonia Gandhi) । তিনি নিজে গিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক সৌম্য রেড্ডির সঙ্গে দেখা করেন ও দলে থাকতে অনুরোধ করেন। অথচ গত শনিবারই ওই বিধায়কের বাবা যিনি নিজেও কর্নাটকের বিধায়ক,রামলিঙ্গা রেড্ডি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
''এত লোভ কিসের": কর্ণাটক সমস্যা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
কর্নাটকের এই সঙ্কটের সময়েই প্রতিবেশী রাজ্য গোয়াতেও দেখা গেছে একই ছবি। গোয়া বিধানসভার দুই-তৃতীয়াংশ কংগ্রেস বিধায়ক দল থেকে ইস্তফা দিয়ে শাসক দল বিজেপির গেরুয়া পতাকার তলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। কিছুদিন আগে তেলেঙ্গানাতেও কংগ্রেস বিধায়করা পদত্যাগ করে গিয়ে যোগ দেন চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলে।
রাহুল গান্ধির পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে পদত্যাগ করার হিড়িক ওঠে।জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরার মতো হেভিওয়েট নেতারাও নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন।তারপর থেকেই ধুঁকছে দেশের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক দলটি। রাহুল গান্ধির বিকল্প হিসাবে কংগ্রেস সভাপতির গুরুদায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কে টেনে তুলবেন হাতের দলকে তার উত্তর এখনও অজানা।