This Article is From Jun 22, 2020

গালোয়ান সংঘাতে মৃত চিনা সেনা কমান্ডাট, স্বীকার বেজিংয়ের: সূত্র

জানা গিয়েছে, সেই সংঘাতের জেরে ৭৬ জন ভারতীয় সেনা জখম। যাঁদের জম্মু ও লেহর সেনা হাসপাতাল চিকিৎসা চলছে

গালোয়ান সংঘাতে মৃত চিনা সেনা কমান্ডাট, স্বীকার বেজিংয়ের: সূত্র

গালোয়ান সংঘাতের পর উত্তেজনা প্রশমনে সামরিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে ইন্দো-চিন। ফাইল ছবি

নয়াদিল্লি:

গালোয়ান সংঘাতের (Galowan standoff) প্রায় একসপ্তাহ বাদে চিনা সেনাকর্তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনল বেজিং (Beijing)। সেই ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা কমাতে সামরিক স্তরে আলোচনা করছে ইন্দো-চিন। সেই আলোচনায় এই প্রসঙ্গ (One China commandant martyrs dueing clash) স্বীকার করে নিয়েছেন সে দেশের সামরিক বাহিনী। ১৫ জুনের সেই ঘটনার পর ভারতীয় তরফে বিবৃতি ছিল, গালোয়ান সংঘাতে শহিদ ২০ জওয়ান। চিনের তরফে হতাহত কমবেশী ৪৫ জন। যদিও এযাবৎকাল বেজিং ভারতের দাবির পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও বিবৃতি দেয়নি। সোমবারের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ সামনে আনলো চিনা আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, সেই সংঘাতের জেরে ৭৬ জন ভারতীয় সেনা জখম। যাঁদের জম্মু ও লেহর সেনা হাসপাতাল চিকিৎসা চলছে। আগামি একসপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন তাঁরা।

লাদাখ সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা! সীমান্তের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন করল সেনা

গালওয়ানে ভারত ও চিনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ সহ বিতর্কিত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ফের ভারত ও চিনের শীর্ষ সামরিক কর্তারা আলোচনায় বসছেন। জানা গেছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের ওই আলোচনা পূর্ব লাদাখের কাছে চিন সীমান্তের দিকে চুশুলের মোলদোয় অনুষ্ঠিত হবে। সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, "গালওয়ান এবং ফিঙ্গার্স এলাকা নিয়ে তো আলোচনা হবেই, সেই সঙ্গে অন্য সমস্ত ইস্যু নিয়েও আলোচনা করা হবে"। এর আগে গত ৬ জুন এমন আরেকটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই ঠিক হয়, ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখান থেকে চিন তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে। কিন্তু তারপরে দেখা যায় যে চিন কথায় এক আর কাজে আরেক করছে। ১৫ জুন ফের ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে, যাতে প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় সেনার ও আহত হন কমপক্ষে ৭৬ জন।

চার দশক পর আবার কেন রক্তাক্ত হল লাদাখ উপত্যকা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বসে প্রাক্তন সেনাকর্মীরা বলছেন, লালফৌজের চোখে চোখ রেখে কথা, সহ্য করতে পারেনি চিন। তাই কিছুটা পালটা দিতে এই সংঘর্ষ বাঁধিয়েছে। ৬ জুনের সামরিক স্তরের বৈঠকের পর চিন সেনার অধিগৃহীত জমি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কথা ছিল। সেই কাজ খতিয়ে দেখতে শহিদ কর্নেল বিএল সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে এলাকা পরিদর্শনে বেরোয় ভারতীয় বাহিনী। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ১০০ জন জওয়ান।

গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযানে বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন অধীর চৌধুরী

এর পরেই তাঁরা ১৫,০০০ ফুট উচ্চতায় গালোয়ান উপত্যকা এলাকা গিয়ে দেখে সেখানে দিব্যি তাঁবুতে ঘাঁটি গেড়ে বসে লালফৌজ।

তাঁদের বের করে সেই তাঁবু ভাঙতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু তাঁবুতে। এতেই বিপদ বুঝে কাঠের তক্তা, লোহার রড, কাটা তার জড়ানো বাটাম-সহ আরও বাহিনী জড়ো হয় গালোয়ান এলাকায় । শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি ও সংঘর্ষ এবং তাতেই প্রাণ যায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের।

.