China Train Tender: বন্দে ভারতের ৪৪ টি ট্রেনের টেন্ডার বাতিল করলো ভারত
হাইলাইটস
- একটি চিনা সংস্থাকে বন্দে ভারত ট্রেন তৈরির বরাত দিয়েছিলো ভারত
- সেই টেন্ডারই এবার বাতিল করার ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক
- আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এবিষয়ে নতুন টেন্ডার ডাকা হবে
চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চাপানউতোর প্রভাব ফেলল বন্দে ভারত প্রকল্পেও। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক (Indian Railways) এক টুইটে জানিয়েছে যে, ভারত ৪৪ টি সেমি-হাইস্পিড "বন্দে ভারত" ট্রেন (Vande Bharat Trains) তৈরির যে দরপত্র চিনকে (China Train Tender) দিয়েছিল তা বাতিল করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে যে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য নতুন করে দরপত্র হাঁকা হবে। কেন্দ্রের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামকে অগ্রাধিকার দিয়েই গোটা বিষয়টাই করা হবে। যেভাবে টেন্ডার বাতিল করা হলো ভারতের পক্ষ থেকে তাতে চিন যে বিরাট এক ধাক্কা খেল তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সিআরআরসি পাইওনিয়ার ইলেকট্রিক (ভারত) প্রাইভেট লিমিটেড যাঁরা ট্রেন তৈরির বরাত পেয়েছিল সেটি আসলে একটি চিনা সংস্থা। এর সঙ্গে গুরুগ্রামের পাইওনিয়র ইলেক্ট্রিকের যৌথ উদ্যোগে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন তৈরির কথা ছিল।
কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক টুইট করে জানায়,"বন্দে ভারতের ৪৪ টি সেমি-হাইস্পিড ট্রেনের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। সংশোধিত পাবলিক প্রকিউরমেন্টের (মেক ইন ইন্ডিয়া) নির্দেশ অনুযায়ী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন টেন্ডার ডাকা হবে।"
Tender for manufacturing of 44 nos of semi high speed train sets (Vande Bharat) has been cancelled.
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) August 21, 2020
Fresh tender will be floated within a week as per Revised Public Procurement (Preference to Make in India) order.
২০১৫ সালে দেওয়া ওই টেন্ডার অনুযায়ী চিনা সংস্থা সিআরআরসি ইয়ংজি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে গুরুগ্রামের পাইওনিয়র ইলেক্ট্রিকের যৌথ উদ্য়োগে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন তৈরির কথা ছিল।
নতুন করে টেন্ডার ডেকে ভারতীয় সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রেল। দেশীয় সংস্থার মুনাফা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রেল। চেন্নাইয়ের একটি সংস্থাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
বন্দেভারত প্রকল্পে আরও পাঁচটি সংস্থা বরাত পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যালস লিমিটেড, ভহারত ইন্ডাস্ট্রিজ, মেধা সেরভো ড্রাইভস প্রাইভেট লিমিটেডের মতো সংস্থা। তাদের সঙ্গে চুক্তি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে রেল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি-বারাণসী রুটে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চলাচলের সূচনা করেন। এরপর আবার গত ৩ অক্টোবর দিল্লি এবং শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী কাতরার মধ্যে দ্বিতীয় ট্রেনটি চলাচলের সূচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।