This Article is From Dec 04, 2019

'ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে', চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান দেওয়ার প্রসঙ্গে বললেন ইসরো প্রধান

Chandrayaan-2: চেন্নাইয়ের এক ইঞ্জিনিয়ার বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান পেতে সাহায্য করেছেন, নাসার এই বিবৃতিতে দেশ তথা গোটা বিশ্বে শোরগোল পড়ে যায়

'ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে', চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান দেওয়ার প্রসঙ্গে বললেন ইসরো প্রধান

Vikram Lander: "আমাদের নিজস্ব অরবিটারটিই ল্যান্ডারের সন্ধান পায়", বলেন ইসরো প্রধান

কিশাগড় / নয়াদিল্লি:

চেন্নাইয়ের এক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিক্রম ল্যান্ডারের সন্ধান পেতে সাহায্য করেছেন, নাসার এই বিবৃতিতে যখন দেশ তথা গোটা বিশ্বে শোরগোল পড়ে গেছে, ঠিক সেই সময় একেবারে উল্টোপুরান শোনা গেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) প্রধানের মুখে। ইসরো প্রধান ডঃ কে সিভান (Dr K Sivan) বলেন, মহাকাশ সংস্থার নিজস্ব অরবিটার তার আগেই চন্দ্রযান ২ (Chandrayaan-2) -এর ল্যান্ডার বিক্রমকে (Vikram Lander) খুঁজে পেয়েছিল। "আমরা এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। অবতরণের তারিখের পরে, আমাদের ওয়েবসাইটটিই জানিয়েছিল যে আমাদের নিজস্ব অরবিটারটিই বিক্রমের অবস্থান চিহ্নিত করেছে। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে তা ঘোষণাও করেছি। আপনি সেখানে ঢুকে দেখতে পারেন ... "রাজস্থানের কিশানগড়ের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডক্টর সিভান বলেন,"আমাদের নিজস্ব অরবিটারটিই ল্যান্ডারের সন্ধান পায়"।

গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় সে। ফলে আশঙ্কা করা হয় যে চাঁদের মাটিতেই ভেঙে পড়েছে বিক্রম।

অবশেষে মিলল চন্দ্রযান-২ এর মুন ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ, চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারকে কৃতিত্ব নাসার

এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ইসরো তার ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দেয় যে ল্যান্ডার বিক্রম যে চাঁদের জমিতে অবতরণের চেষ্টা করেছিল সেই সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে লুনার অরবিটার। তবে এখনও ওর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সংস্থাটি জানায়, "যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য সবরকমের সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে"। ডঃ সিভান আগেই বলেন যে বিক্রম চাঁদের মাটিতে "সফ্ট ল্যান্ডিং" করতে সমর্থ হয়নি এবং  তাঁঁদের অরবিটারটি ল্যান্ডারের থার্মাল ইমেজ তুলতে পেরেছে।

ইঞ্জিনিয়ার শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন-ই হলেন সেই ব্যক্তি যিনি চাঁদের জমিতে পড়ে থাকা বিক্রম ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের দিকে মার্কিন গবেষণা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে তাঁর দাবি, নিজের আগ্রহেই ওই ধ্বংসাবশেষের (Vikram Lander) সন্ধান পেয়ে তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী এই যুবক এনডিটিভিকে জানান, তাঁর বার্তায় ভাল সাড়া দিয়েছিল নাসা, ইসরো নয়। "আমি নাসা ও ইসরো, দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকেই একটি করে টুইট পাঠিয়েছি। এমনকি নাসার কয়েকজন বিজ্ঞানীর কাছেও ইমেল করি আমি। তারা এলআরওর (চন্দ্র পুনরুদ্ধার অরবিটার) সংগৃহীত ছবির দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে আমি বেশ ভাল সাড়া পাই"।

"নাসার কাছ থেকে ভাল সাড়া পেয়েছি": বললেন ল্যান্ডার বিক্রমের সন্ধান দেওয়া চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ার

নাসা তাদের চন্দ্রাভিযান পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত অরবিটার (এলআরও) -এর তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে যা দেখায় যে "ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের চেষ্টার পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী প্রভাব পড়েছে এবং ল্যান্ডারটির ধ্বংসাবশেষ যে জায়গায় পড়ে আছে সেটিকেও  নির্দেশ করে ওই ছবি"। এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, "মূল দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৭৫০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ন ওই ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকার স্থানটি ছবিতে শনাক্ত করেন"।

ভারত যদি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের এই পরিকল্পনাটি সফাল করতে পারতো তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পরে - এই কীর্তি অর্জনকারী চতুর্থ দেশ হত। 

কে আগে সন্ধান পেয়েছে বিক্রম ল্যান্ডারের, এই বিতর্কের মধ্যেই দেখে নিন অন্যান্য খবরও:

.