This Article is From Feb 10, 2019

শিলং-এ টানা ৮ ঘন্টা ধরে রাজীব কুমারকে জেরা করল সিবিআই

রাজীব কুমারের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের আরও ৩ জন অফিসার শিলং-এর একটি হোটেলে ওঠেন। জেরা করার সময় ওই অফিসারদের হোটেলের রুমের বাইরে পাঠিয়ে দেন সিবিআই কর্তারা।

শিলং-এ টানা ৮ ঘন্টা ধরে রাজীব কুমারকে জেরা করল সিবিআই
কলকাতা:

শনিবার শিলং-এ সিবিআই আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সিবিআই তাঁকে টানা ৮ ঘন্টা ধরে জেরা করল। রাজীব কুমারের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের আরও ৩ জন অফিসার শিলং-এর একটি হোটেলে ওঠেন। জেরা করার সময় ওই অফিসারদের হোটেলের রুমের বাইরে পাঠিয়ে দেন সিবিআই কর্তারা। সারদা চিটফান্ড মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি তিনি নষ্ট করে ফেলেছেন, এমনই অভিযোগ রয়েছে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট বিতর্ক এড়ানোর জন্য মেঘালয়ের রাজধানীর মতো 'নিরপেক্ষ' স্থানটি বেছে নেয় এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেরাটির জন্য।

শনিবার সকাল ১১'টা থেকে শুরু হয় এই অতি গুরুত্বপূর্ণ জেরাপর্বটি। যা চলে সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। আগামীকাল রবিবারও সিবিআই-এর জেরার সামনে রাজীব কুমারকে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজীব কুমারকে জেরা করার জন্য দিল্লি থেকে সিবিআই-এর একটি দল এসে উপস্থিত হয় শিলং-এর হোটেলে।

সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে সিট বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সিটের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তভার নেয় সিবিআই। কুণাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বোস, মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

পাশাপাশি রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকেও শিলং-এ ডেকে  পাঠানো  হয়েছে। সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে  আসার  পর রাজ্য   সরকারের  তৈরি বিশেষ  তদন্তকারী দলের হাতে গ্রেফতার হন কুণাল। মামলার  তদন্তভার হাতে  নিয়ে  তাঁকে  গ্রেফতার দেখিয়ে  নিজেদের হাতে নেয়  সিবিআই। এরই  মাঝে দল  থেকে  সাসপেন্ড  হন কুণাল। দীর্ঘ  দিন জেলে  থাকার পর কিছু দিন আগে তাঁকে জামিন দেয়  আদালত। তবে প্রথমে তাঁর জামিনের জন্য  কয়েকটি শর্ত রাখা  হয়েছিল পরে তা তুলে  নেয় আদালত। দীর্ঘ দিন জেলে থাকার সময় গোটা ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের  অন্য শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করেছেন কুণাল। জেল থেকে  আদালতে  বা হাসপাতালে  যাওয়ার পথে   সুযোগ পেলেই  সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে  কথা  বলে ক্ষোভ উগড়ে  দিতেন এই প্রাক্তন সাংসদ।  শুধু তাই নয় তৎকালীন  বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকেও অভিযুক্ত করেন তিনি। শুধু কুণালই নয়, সূত্রের খবর, সৃঞ্জশ বোসকেও ডাকা হতে পারে শিলং-এ। রাজীব কুমারের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার জন্য।

রাজীবের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ আসেনি বলে জানালেন মমতা

সিবিআইয়ের অভিযোগ, সিটের দায়িত্বে থাকাকালীন সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত একাধিক নথি নষ্ট করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। সে নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।বেশ কয়েকবার তাঁকে নোটিশও পাঠানো হলেও, তিনি হাজির বা কোনও উত্তর দেননি বলে অভিযোগ।

গত রবিবার তাঁর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানেই তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে যদিও তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সেই রাতেই ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ পাশে থাকলেও একসময়ে রাজীবের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের জব্দ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেন তিনি। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।

শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়., কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না, তবে তাঁকে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.