This Article is From Oct 07, 2018

বহুরূপে পুরাতন- ঐতিহ্য আর রিমডেলিং নিয়ে পুজোর ফ্যাশনে ডিজাইনার অভিষেক

এথনিক জামদানী আর পুরনো শাড়ির রিমডেলিং করে পুজোর ফ্যাশনে নতুনত্ব আনছেন অভিষেক।

বহুরূপে পুরাতন- ঐতিহ্য আর রিমডেলিং নিয়ে পুজোর ফ্যাশনে ডিজাইনার অভিষেক

অনুষ্ঠানে বা ক্যাজুয়াল এমনকি অফিসেও পরে যেতে পারেন অভিষেকের ‘রিসাইকল্ড ফ্যাব্রিক’

কলকাতা:

রোজ অফিসের তাড়া, কলেজের দৌড়, কাজের চাপ সেরে দিনের কোনও না কোনও সময় মানুষ নিজের মুখোমুখি হয় আয়নার সামনে। পরিচিত অথচ একঘেয়ে চেহারায় নিজের সাথে আলাপ হয় রোজ। অথচ নিজের মধ্যেই থাকা নতুন রূপের মানুষটার সাথে সাক্ষাৎই হয় না আমাদের। একই মানুষের মধ্যেই আছে নানা রূপ, আর সেই বহুরূপ খুঁজে বের করতেই উঠে পড়ে লেগেছেন ডিজাইনার অভিষেক রায়। শান্তিনিকেতন কলাভবনের ছাত্র ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেকের ক্লোদিং লাইনের নামও তাই ‘বহুরূপী’। এই পুজোতেও পুরোনোর মধ্য থেকেই নতুনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এথনিক জামদানী আর পুরনো শাড়ির রিমডেলিং করে পুজোর ফ্যাশনে নতুনত্ব আনছেন অভিষেক।

8reu65lo

“একটা মানুষের বহু রূপ, আর আমার কাজও হল মানুষের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রূপকে সুযোগ বুঝে বের করে আনা, এই ধারণা থেকেই বছর দুয়েক আগে শুরু হয় বহুরূপী।”-বলেন টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত এই ডিজাইনার। সাধারণত প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিক যেমন রেশম, তসর, লিনেন ইত্যাদি নিয়েই কাজ করেন তিনি। তবে এবার পুজোয় তাঁর মূল আকর্ষণ জামদানী। না, শাড়ি হিসেবে নয়, বরং পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই জামদানী কাপড়ের পোশাক তৈরি করছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, “পুজোয় সবাই একটু ট্র্যাডিশনাল সাজে দেখতে চায় নিজেকে। কিন্তু ট্র্যাডিশন আর ট্রেন্ডের যদি মিল ঘটানো যায় কেমন হয়? এই ভাবনা থেকেই দেখলাম জামদানী ঐতিহ্যবাহী শাড়ি হিসেবে সবারই পছন্দ। ওই কাপড় দিয়েই যদি নতুন পোশাক বানানো যায় কেমন হয়!”

k0vq0n2o

উৎসবের কথা মাথায় রেখেই লাল আর সোনালী রঙ প্রাধান্য দিয়েই অভিষেক ডিজাইন করেছেন পুজোর পোশাক। কোথাও সোনালী জামদানী লং কুর্তার সাথে লাল ক্রপ জ্যাকেট। কোথাও আবার গাঢ় লাল লং স্কার্টের সাথে ডিজাইনার ব্লাউজ আর সোনালী পাড়ের দোপাট্টা। কখনও আবার জামদানী লং ফ্রক। ছেলেদের জন্যও আছে এথনিকের সম্ভার। সোনালী পাঞ্জাবীর সাথে জামদানী কাপড়ের লাল জ্যাকেট। বা সোনালী ট্রাউজারের সাথে জামদানী ব্লেজার।

5k66mcm

এখানেই শেষ না। একঘেয়ে যাপনে যেমন মানুষের নতুন রূপ বের করে আনতে চান অভিষেক, তেমনই পুরনো কাপড়কেও নয়া ভঙ্গিমায় হাজির করছেন তিনি। অভিষেক জানান, অনেক সময় আমাদের বাড়িতে পুরনো ভালোভালো শাড়ি থেকেই যায়। যার বাকি অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও পাড় ঠাসা বুননের হওয়ায় অক্ষত থেকে যায়। এই পাড় দিয়ে বা পুরনো শাড়ির ভালো অংশটুকু দিয়ে নতুন পোশাক বানাচ্ছেন তিনি।

tqul1le

এখানে অবশ্য শুধুই ফেস্টিভ লুকের পোশাক নয়। সকালের কোনও অনুষ্ঠানে বা ক্যাজুয়াল এমনকি অফিসেও পরে যেতে পারেন অভিষেকের ‘রিসাইকল্ড ফ্যাব্রিক’। হঠাত পুরোনোর মাঝে নতুনকে সন্ধানের ইচ্ছা? “এটা একেবারেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই। বাড়িতে দেখতাম মায়ের অনেক সুন্দর সব পুরনো শাড়ি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি একবার মায়ের একরম দু’ তিনটে শাড়ি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু করলাম।”- বলেন অভিষেক।

টালিগঞ্জের কাছেই অভিষেকের স্টুডিও। জোর কদমে কাজ চলছে পুজোর কালেকশনের। তবে এখানে এক্সক্লুসিভ পোশাক পাবেন আপনি। একমেবদ্বিতীয়ম হতে চাইলে সামান্য বেশি টাকা লাগলেও, অভিষেক বলছেন পুজোর বাজারে সাধ্যের মধ্যেই থাকবে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট।

.