তথ্যের অধিকার আইনের বিলে সরকারের বদল আনতে চাওয়া নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে
নিউ দিল্লি: স্বচ্ছতার ওপর ফের পড়তে চলেছে খাঁড়ার ঘা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট বা তথ্যের অধিকার আইনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হবে সংসদের বাদল অধিবেশনে। প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি রাজ্য ও কেন্দ্রের তথ্য কমিশনারদের বেতন ও মেয়াদের অন্তর্ভুক্ত হবে। সমাজকর্মীরা যাকে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও জুলুমবাজি বলছেন। তথ্যের অধিকার আইন 2018’তে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, পাঁচ বছর মেয়াদে থাকা তথ্য কমিশনারদের সরকার দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী মানতে হবে।
তাঁদের বেতন নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ করবে কেন্দ্র।
সুত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন এবং তথ্য কমিশনকে এক সরলরেখায় টেনে আনার প্রয়াসটি খুব যথাযথ নয়। নির্বাচন কমিশন হল একটি সাংবিধানিক সংস্থা, স্বাধীন ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করাই যাদের মূল কাজ। অন্যদিকে, তথ্য কমিশন হল এমন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা, যার কাজ হল তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আসা সমস্ত ধরনের অভিযোগ ও অনুরোধের দিকে নজর দেওয়া।
এই নতুন প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করে দিল্লি সহ গোটা দেশেই প্রবল প্রতিবাদী জমায়েত হয়েছে এবং হচ্ছে। কেবলমাত্র আরটিআই বা তথ্যের অধিকার আইন নিয়ে কাজ করা কর্মীরাই নন, তাঁদের সঙ্গে আছে দুর্নীতি বিরোধী মঞ্চের বহু কর্মী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্নীতির চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়ে মৃত্যুবরণ করা বহু মানুষের পরিবারও।
প্রস্তাবিত বিলটি নিয়ে তথ্যের প্রবল অভাব থাকায় তথ্যের অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কর্মীরা আদালতে বিষয়টি সম্বন্ধে একটি সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য একটি আরটিআই পিটিশন দাখিল করেন।