নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব রাজধানী দিল্লির মানুষ
হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী দিল্লি
- জামা মসজিদ চত্বরে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিশাল জমায়েত
- ১৪৪ ধারাকে উপেক্ষা করেই ওই জমায়েত করা হয়
নয়া দিল্লি: বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে প্রথমে পুলিশের নাগালের মধ্যে এলেও পরে দিল্লি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালালেন চন্দ্রশেখর আজাদ। শুক্রবার দুপুর নাগাদ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) প্রতিবাদে বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে দিল্লির জামা মসজিদের কাছে। পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করেই ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ মসজিদ (Jama Masjid) এলাকায় ওই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। বিক্ষোভ ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। জামা মসজিদের মূল ফটকের কাছে সংবিধানের প্রতিলিপি হাতে বিক্ষোভে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শোনা যায় তাঁকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আটক করা হয় চন্দ্রশেখর আজাদকে। কিন্তু পরে পুলিশকে ফাঁকি দেন তিনি। গোটা এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা মারফৎ নজরদারি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। সংসদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন প্রাপ্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সব অমুসলিম মানুষরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা এবার ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই আইনেরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। সেই রেশ ধরেই শুক্রবারও রাজধানীতে চলছে প্রতিবাদ-আন্দোলন। এবার মধ্য দিল্লির জামা মসজিদের বাইরে পুলিশি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই অসংখ্য মানুষ এর প্রতিবাদে জমায়েত করেছেন।
অমিত শাহের বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আটক প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে তাঁরা জামা মসজিদের বাইরে কোনও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলে জমায়েত হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) জানিয়েছে, জামা মসজিদ, চাওরি বাজার এবং লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনগুলিতে ঢোকা ও বেরোনোর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ট্রেনগুলি সেখানে থামবে না, জানিয়েছে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি)।
ভীম সেনার সমর্থনকারীরা শুক্রবার জামা মসজিদ থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ মিছিল করার পরিকল্পনা করে। ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ বলেন, ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই ওই অঞ্চল থেকে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। সেই মতো দুপুর ১ টা নাগাদ জামা মসজিদ চত্বরে ভিড় জমাতে থাকেন প্রতিবাদীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে চন্দ্রশেখর আজাদকে আটক করে পুলিশ।
শান্তি ফিরছে বাংলায়, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনও নতুন বিক্ষোভের খবর নেই
গত বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই আইনে স্বাক্ষর করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। বিশেষত দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল এবং বাংলাতেও এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অসমে বিক্ষোভের পর ঘটা হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লিও।
নজর রাখুন দেশের অন্যান্য খবরেও: