
সন্ধ্যা ৭:৪০ নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। ওই অঞ্চলে প্রচণ্ড ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা।
দুবাই ফেরত এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস বিমান কোঝিকোড়ে অবতরণের সময় পিছলে গেল। জানা গিয়েছে, সেই বিমানে ১৮৪ জন যাত্রী ছিলেন। একজন পাইলট সহ ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে এবং অনেক যাত্রীর আহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ কে জে অ্যালফোনস। বিমানটিতে ১৭৪ জন যাত্রী, ১০ জন শিশু, দুজন পাইলট এবং চার জন কেবিন ক্রু সদস্য সহ মোট ১৯০ জন ছিলেন। বিমানটি বন্দে ভারত প্রকল্পের অংশ যা করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার উদ্দেশে চলাচল করছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার ২৪ অনুসারে, বিমানটি বিমানবন্দরে বেশ কয়েকবার চক্কর কেটেছিল এবং অবতরণের জন্য দু'বার চেষ্টাও করেছিল।
শুক্রবার দুপুরে দুবাই থেকে ১৯১ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস বিমানটি কেরলের কোঝিকোড়ে অবতরণের সময় রানওয়েতেই পিছলে যায়। সূত্রের খবর, উদ্ধার কাজ চলছে। ঘটনাস্থল থেকে মেলা ছবিতে দেখা গিয়েছে বিমানটি দু'টুকরো হয়ে রানওয়ে ও তার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্রের খবর, IX 1344 বিমানের বেশ কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন এবং তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।
সন্ধ্যা ৭:৪০ নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। ওই অঞ্চলে প্রচণ্ড ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা। তবে বিমানটিতে আগুন লাগেনি এবং যাত্রীদের সকলকে উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
কোঝিকোড় বিমানবন্দর কেরলের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক টার্মিনাল এবং বিদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিমান ওঠানামা করে বলে কংগ্রেসের শশী থারুর এনডিটিভিকে জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইট করেছেন, "কেরলের কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে দুঃখিত। এনডিআরএফকে (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) দ্রুত জায়গায় পৌঁছতে এবং উদ্ধারকাজে সহায়তা করার নির্দেশ দিয়েছি।"
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন টুইট করেছেন:
Have instructed Police and Fire Force to take urgent action in the wake of the plane crash at the Kozhikode International airport (CCJ) in Karipur. Have also directed the officials to make necessary arrangements for rescue and medical support.
— Pinarayi Vijayan (@vijayanpinarayi) August 7, 2020
কেরলে দিনব্যাপী ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধস দেখা দিয়েছে এবং কমপক্ষে ১৫ জন মারা গিয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে পাহাড়ি ইদুক্কি জেলায় ভূমিধসের পরে আরও প্রায় ৫০ জনের এখনও ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকা পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।